ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৭ মার্চ ২০১৭

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ কমাতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এসএম মনিরুজ্জামানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুভংকর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং পর্ষদ এ চার্জ কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি বলেন, কিভাবে এটা আরও কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন দেশের ১৭টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিকাশ ছাড়া বাকি ১৬টি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তবে এই সেবা নিয়ে বেশ কিছু অনিয়েমের খবর বেরিয়েছে। মুখপাত্র বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি সীমিত ব্যাংকিং সেবা। তবে এখন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে অনিয়ম বেড়েছে। অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণ, জোর করে টাকা আদায় করছে। এই অনিয়মের কারণে আমরা এই সেবা আরও সীমিত করেছি। মুখপাত্র বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি সীমিত ব্যাংকিং সেবা। তবে এখন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে অনিয়ম বেড়েছে। বিকাশ কি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিকাশ যেহেতু মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অপরাধের খবর তাদের বেশি। তবে সব কিছু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেন মুখপাত্র। অনুষ্ঠানে ডেপুটি গবর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সেবার সীমা কমানো হয়েছে। এতে একজন গ্রাহক তার মোবাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ২ বারে ১৫ হাজার টাকা নগদ জমা এবং ১০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। এভাবে মাসে তিনি ২০ বারে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ জমা এবং ১০ বারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। তবে একটি মোবাইল হিসাবধারী কর্তৃক নগদ অর্থ জমা হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। এই নির্দেশনা শুধু মোবাইল হিসেবে ক্যাশ ইন হলেই প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বেতন, পোশাক, শ্রমিকদের বেতন, বিদ্যুত বিল, মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ সময় পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ, মহাব্যবস্থাপক জিএম আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক মাস আগে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে নির্দেশনা প্রদান করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে কোন মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ অর্থ জমা বা উত্তোলনে গ্রাহককে পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করতে হবে, যা এজেন্ট তার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
×