ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৭ মার্চ ২০১৭

রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

নিখিল মানখিন ॥ সেবার শপথ নিয়ে চিকিৎসা পেশায় এসেই অসহায় রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোগীদের জিম্মি করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকবার এমনভাবেই দাবি আদায় করেছে। এবার পাঁচ দিন কর্মবিরতির পর সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চার ইন্টার্ন ডাক্তারের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি আদায় করেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরই তাদের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না করারও অঙ্গীকার করেছে বলেও মন্ত্রী জানান। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এমন আচরণকে সাম্প্রতিক পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকে। সড়কে মানুষ হত্যার স্বাধীনতার দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরাও দেশের মানুষকে জিম্মি করেছিল। আদালতে দেয়া দুই শ্রমিকের শাস্তি মওকুফের দাবিতে তারা অচল করে দিয়েছিল সারাদেশ। ধর্মঘট না বলে তারা স্বেচ্ছা অবসরের কথা বলেছিল। মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি কর্তৃক চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বগুড়ায় এক রোগীর ছেলেকে মারধর করা ঘটনা প্রমাণ হওয়ার পর ছয় মাসের জন্য তাদের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়। প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসরা সারাদেশের রোগীদের জিম্মি করে ধর্মঘট শুরু করে। পরিবহন শ্রমিকদের মতো তারাও স্বেচ্ছা অবসরের ঘোষণা দেয়। শেষ পর্যন্ত দাবি আদায় করেই তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে সোমবার কাজে যোগদান করেছে। কথায় কথায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন, যে কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতে যাওয়ার বিষয়টি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার মান ও পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হচ্ছে। চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে সরকারী হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা। নির্দিষ্ট কোন একটি ঘটনার জন্য সারাদেশের সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান থেকে বিরত থাকার বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর রোগীদের জিম্মি করে নিজেদের দাবি আদায়ের বিষয়টি রোগীদের প্রতি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘অমানবিক’ আচরণের বহির্প্রকাশ বলেও কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতি পালন করে ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আগের বছর ২৭ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। রাতে রোগীর স্বজনদের হাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ এনে এই কর্মবিরতির কর্মসূচী দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রংপুর মেডিক্যালে কলেজ (রমেক) ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মাহফুজুল হক তালুকদার রাকিব আহত হওয়ার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করে। একই বছর ৫ অক্টোবর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করে। এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অপ্রীতিকর জের ধরে নিরাপত্তার দাবি তুলে ইন্টার্ন ডাক্তাররা ধর্মঘটে যায়। ১৪ জুন বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করে। এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়। ১৬ এপ্রিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনায় হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করে ডাক্তাররা। দুই বছর আগে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেছে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে বিবাদের জের ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সারাদেশে ধর্মঘট শুরু করেছিল। প্রতিবারই তারা নিরীহ রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করে। ঘটনার সূত্রপাত ॥ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর ছেলে কতিপয় ইন্টার্নি চিকিৎসক দ্বারা প্রহৃত হওয়ার প্রেক্ষিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে গত ১ মার্চ কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টার্নি চিকিৎসকদের দ্বারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও রোগীর ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন একটি অন্যায় কাজ হয়েছে মর্মে কমিটির কাছে প্রতীয়মান। রোগী সেবার মতো মহৎ পেশায় প্রবেশের পূর্বেই পেশাগত প্রশিক্ষণকালে অভিযুক্ত ইন্টার্নি চিকিৎসকরা মেডিক্যাল নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। প্রত্যাশিত আচরণ অনুশীলনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার বলে কমিটি মনে করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মোঃ হাবিবুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দু’জন সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ শরফুদ্দীন আহমেদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রশিদ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। অভিযুক্ত চার চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পাশপাশি তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন হাসপাতালে বদলি করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রথমে কর্মবিরতি কর্মসূচী ঘোষণা করে গত শনিবার বগুড়ার শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ও সিরাজগঞ্জের নর্থবেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও রবিবার কর্মবিরতি শুরু হয়। কর্মবিরতির পাশাপাশি তারা মানববন্ধন করে সহকর্মীদের শাস্তির প্রতিবাদ জানায়। এর ফলে ওইসব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের। চিকিৎসাসেবা ব্যাহত ॥ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কর্মসূচীর কারণে গত পাঁচদিন সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হয়। নিয়মিত চিকিৎসকদের হাসপাতালে স্বল্প সময় অবস্থানের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে। দিন-রাত চিকিৎসাধীন রোগীদের তদারকি করার দায়িত্ব পড়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কোন কারণে তারা কর্মবিরতি পালন করলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়। গত পাঁচদিন ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকারী হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার খবর দিয়েছেন জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা জানান, নিয়মিত চিকিৎসকরা দিনে দু’বেলা (সকালে ও রাতে) রোগীদের দেখে গেছেন। বাকি সময় দায়িত্ব পালনের কথা ছিল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। রোগীদের দেখার মতো কোন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। জরুরী বিভাগ হয়ে পড়ে অকার্যকর। অবস্থার অবনতি ঘটলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অনেক মরণাপন্ন রোগীকে চিকিৎসাবিহীন থাকতে হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসকদের অনেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করাতে দায়িত্বরত নিয়মিত চিকিৎসকের সংখ্যও কমে যায়। এমন অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা। অনেক রোগীকে বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসাসেবার মতো মহৎ পেশার সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে এ ধরনের কর্মসূচী কোনভাবেই কাম্য নয়। তুচ্ছ কারণে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হলে তাদের সুনাম ক্ষুণœ হবে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের শাস্তির প্রতিক্রিয়ায় বগুড়া মেডিক্যাল কলেজসহ আরও কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি বিস্ময়কর। সরকারী হাসপাতালের অধিকাংশ রোগী দরিদ্র পরিবারের। অসহায় হয়ে তারা সরকারী হাসপাতালে যায়। এভাবে চলতে থাকলে দেশের দরিদ্র মানুষের নামমাত্র টাকায় চিকিৎসা গ্রহণের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। শাস্তি মওকুফ ও কর্মবিরতি কর্মসূচী প্রত্যাহার ॥ পাঁচ দিন কর্মবিরতির পর সোমবার ঢাকার ধানম-িতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসায় চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, রাজধানীর কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শাস্তি মওকুফের আশ্বাস দেয়ার পর গত পাঁচ দিন ধরে চালিয়ে আসা কর্মবিরতির কর্মসূচী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সন্ধ্যায় বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়ে আসছে। বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার এমন উজ্জ্বল অবস্থায় স্বাস্থ্য সেক্টরে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কেউ প্রত্যাশা করে না। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। আর এমন যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি কেন্দ্র করে কর্মবিরতি ঘোষণা করে রোগীদের জিম্মি করার কর্মসূচী আমাকে ব্যথিত করেছে। শাস্তি মওকুফ করে দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শাস্তিপ্রাপ্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন, আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আর তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
×