ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ

বন্ধ্যত্ব ঘোঁচাতে চায় কিউইরা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৭ মার্চ ২০১৭

বন্ধ্যত্ব ঘোঁচাতে চায় কিউইরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেই ১৯৩২ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে মুখোমুখি ১৫টি দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজের একটিতেও জয় নেই নিউজিল্যান্ডের। এবার ঘরের মাটিতে ইতিহাস বদলাতে মরিয়া কেন উইলিয়ামসনের দল। বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় ডুনেডিনে শুরু তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৮৫ বছরে ১৫ সিরিজের ১২টিতে জয় প্রোটিয়াদের, ড্র বাকি তিন সিরিজ। সর্বোপরি মাত্র ৪ টেস্ট জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখনও সিরিজ জিততে পারেনি কিউইরা। এবার বন্ধ্যত্ব ঘোঁচাতে চায় তারা। একমাত্র টি২০তে জয় দিয়ে এবারের নিউজিল্যান্ড সফর শুরু করে ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ওয়ানডে সিরিজে লড়াইটা হয় সেয়ানে-সেয়ানে। অঘোষিত ফাইনাল হয়ে ওঠা পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ জিতে ৩-২এ সিরিজ পকেটে পোড়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। তবে দুইবার পিছিয়ে পড়েও র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে দুইবারই সমতা আনে স্বাগতিকরা, যা টেস্ট সিরিজে উইলিয়ামসনদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক বলেন, ‘টি২০ ও ওয়ানডেতে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। তাই দুটি সিরিজই হারতে হয়েছে। শেষ ওয়ানডেতে আমাদের অনেক ভুল ছিল। তবে এসব নিয়ে ভাবছি না। আমাদের ভাবনা জুড়ে এখন শুধুই টেস্ট। নতুন ফরম্যাট, নতুন কৌশল। এখানে সাফল্য পেতেই আমরা মাঠে নামব। সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই শেষ করতে চাই। অতীত বদলে দিতে ছেলেরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। এজন্য আমাদের অবশ্য প্রথম টেস্টটা জয় দিয়ে শুরু করতে হবে।’ ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ড বেশ শক্তিধর। এ মৌসুমে তারা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাটিংয়ে উইলিয়ামসনের সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ রস টেইলর, ফর্মের তুঙ্গে থাকা মার্টিন গাপটিল, প্রতিভাবান বিজে ওয়াটলিং ও টম লাথাম। দুই পেসার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে স্পিনার জিতেন প্যাঠের ও মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে কিউদের বোলিং আক্রমণ বেশ সমৃদ্ধ। আছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও নিল ওয়াগনার। তবে সংক্ষিপ্ত ফরমেটের দুটি সিরিজ জয়ের পর সফরকারী প্রোটিয়রাও বেশ ফুরফুরে মেজাজে। সাদা পোশাকের অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস বলেন, ‘টানা সিরিজ জয়ের আনন্দই অন্যরকম। বিশেষ করে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজে। ওয়ানডেতে ২-২ সমতা থাকার পর সিরিজ জিতেছি। দলের সবাই বর্তমান সময়টা উপভোগ করছে এবং টেস্টর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বড় ফরম্যাটেও সাফল্যর ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য সিরিজের শুরুটা ভালভাবে করতে হবে। আশা করি, আমাদের পরিকল্পনা কাজে দেবে।’ সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে ৩-০ ব্যবধানে। বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে প্রোটিয়ারা, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড পাঁচে। এ পর্যন্ত মুখোমুখি ৪২ টেস্টের ২৪টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। নিউজিল্যান্ড ৪। ড্র হয় ১৪ টেস্ট। সর্বশেষ গত বছর আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরিয়নের শেষ টেস্টে ২০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারে কিউইরা। দুই টেস্টের সিরিজ ১-০তে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ নিউজিল্যান্ড সফর করে ২০১২ সালের মার্চে, তিন টেস্টের সেই সিরিজটাও ১-০তে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। মালয়েশিয়ান ওপেনের শিরোপা বার্টির স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়ান ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হলেন এ্যাশলে বার্টি। রবিবার কুয়ালালামপুরে টুর্নামেন্টের ফাইনালে তিনি ৬-৩ এবং ৬-২ সেটে পরাজিত করেন জাপানের নাও হিবিনোকে। সেইসঙ্গে পেশাদার ক্যারিয়ারে এই প্রথম সিনিয়র লেভেলের কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা জিতে দারুণ রোমাঞ্চিত অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টি। এই অর্জন প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এক শ’র তালিকায় জায়গা করে দিচ্ছে তাকে। সেই সঙ্গে টেনিসের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট গ্র্যান্ডসøামেও সরাসরি খেলার নিশ্চয়তা দিচ্ছে এ্যাশলে বার্টিকে। ম্যাচ শেষে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। ২০ বছরের এই অস্ট্রেলিয়ান তরুণী বলেন, ‘আমি যেন চন্দ্রের উপরে আছি। আমি আসলেই বুঝতে পারছি না এখানে কী বলতে হয়। আমি মনে করি এটা আমাদের সাফল্য। ২০১৭ সালের শুরুতেই এই শিরোপা জয় আমার জন্য প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাফল্য।’ এ্যাশলে বার্টি এ সময় আরও বলেন, ‘অফ সিজন এবং গত বছরে যে কাজ করেছি এটা যেন ঠিক তারই প্রতিদান। আমি খুবই আনন্দিত।’ এ্যাশলে বার্টির আগের দুটি টুর্নামেন্টেই তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
×