ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দেড় শ’ বছরের খাল কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ৭ মার্চ ২০১৭

দেড় শ’ বছরের খাল কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৬ মার্চ ॥ আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১৫০ বছরের পুরনো ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য তারিকাটার গোলবুনিয়া খালটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কৃষি জমি দেখিয়ে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত নিয়েছে। বন্দোবস্ত জমির মালিকরা খালটিতে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ২০০ একর কৃষি জমি ও বনজ সম্পদ ধ্বংস হওয়ার পথে। খালের পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ, বন্দোবস্ত বাতিল ও খননের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। জানা গেছে, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা, খোন্তাকাটা, উমারকান্দা, দক্ষিণ তারিকাটা, উত্তর তারিকাটা, কচাবুনিয়া, হাজীকান্দা, শনির ঘোজা, মধ্য তারিকাটা ও রক্ষাতলা গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৫০ বছরের পুরাতন ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গোলবুনিয়া খাল। এ খালের পানি সেচ দিয়ে ওই এলাকার কৃষকরা জমিতে ফসল ফলায়। ২০১০ সালে উপজেলা ভূমি অফিস এ খাল কৃষি জমি দেখিয়ে রফেজ মুন্সি, মোজাম্মেল হাওলাদার, মনিরা বেগম, মফেজ শিকদার, আমিন প্যাদা, ছত্তার, আবদুল রাবেক মোল্লা, আবু ছালেহ মোল্লা, সুলতান ও রফেজ মোল্লার নামে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত দেয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল সরেজমিনে বন্দোবস্তকারীদের জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়। তারা বন্দোবস্ত খালে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ওই খালে ১০টি স্থানে বাঁধ রয়েছে। অনেকে বাঁধ দিয়ে মাটি ভরাট করে কৃষি জমি হিসেবে চাষাবাদ করছে। এ খালের তারিকাটা অংশে ৩৬৬নং খতিয়ানের ৬২৮১ ও ৬২৮৬ দাগে রফেজ মুন্সি, মফেজ শিকদার এবং ৯১৫নং খতিয়ানের ৬৬৪৬নং দাগে মোজাম্মেল হাওলাদারকে এক একর করে জমি ভূমি অফিস ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত দিয়েছে।
×