ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় ঝড়ে চার গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৭ মার্চ ২০১৭

ভোলায় ঝড়ে চার গ্রাম লণ্ডভণ্ড

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে চারটি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। এক শিশু নিহতসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। অথচ ঝড়ে বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও পায়নি কোন ত্রাণসামগ্রী। অসহায় পরিবারগুলো বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। তাদের মধ্যে চলছে হাহাকার অবস্থা। স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেলে হঠাৎ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়া, ভেদুরিয়া ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। প্রায় আধা ঘণ্টার ঝড়ে কালাসুরা ও দড়িরাম শংকর, চরপাতা, ভেদুরিয়া গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। পশ্চিম ইলিশার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের টিনের চালা পড়ে রাজিব (১৩) গুরুতর আহত হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সে সন্ধ্যার দিকে মারা যায়। ধনিয়া ইউনিয়নের দড়িরাম শংকর গ্রামের সবুজ, গুলি গ্রামের বাচ্চু, মোর্শেদ আলম, মঞ্জুর আলম, বশার মাঝি জানান, ঝড়ে তাদের ঘর ভেঙ্গে চূণবিচূর্ণ হয়ে যায়। তারা কাল থেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। কিন্তু সরকারীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কোন ত্রাণসামগ্রী পায়নি। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে শুধু বাড়িঘরই বিধ্বস্ত হয়নি। নাছির মাঝি দাখিল মাদ্রাসা, মারকাজুল কোরআন কওমি মাদ্রসা, গুলি ব্র্যাক স্কুলের টিনের চালা উড়ে বিধ্বস্ত হয়। শাপলা বাজারের সুফিয়ানের দুটি দোকানও ক্ষতি হয়। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় ব্যাপক গাছপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যুতে তার ছিঁড়ে গিয়ে সরবরাহ লাইনের ক্ষতি হয়। এদিকে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, তার এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতি তিনি ইউএনওকে জানিয়েছেন।
×