স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঙালীর গৌরবোজ্জ্বল দিনে ৭ মার্চ। আজকের এই স্মরণীয় দিনে রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র অনুসৃত ও বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার শিল্পশৈলীতে ড. মুকিদ চৌধুরী রচিত ‘রাজাবলি’ নাটকটি আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে। ‘সকাল অশুভ আমাদের পদতেল’-এই সেøাগানে বঙ্গীয় সংস্কৃতি লালন, প্রচার ও প্রসারে নাট্যচর্চা করে আসা নাট্যভূমির ১৯তম প্রযোজনা ও শাহজাহান শোভনের নাট্য-নিদের্শনায় ‘রাজাবলি’ নাটকের চতুর্থ মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে আজ। ‘রাজাবলি’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে রয়েছেন রাহিতুল আলম আপন, রাজিব চন্দ্র শীল, শাহজাহান শোভন, সিফাত আরা ভূঁইয়া বন্যা, শারমিন কলি, এইচ এম রিজভী, শিশির আহমেদ সোহেল, ইমাম হোসেন ইমন, মোহসিনা শবনম, তাসলিমা আক্তার দৃষ্টি, মিঠুন আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম রাজিব, প্রতাপ চন্দ্র বর্মন, এইচ এম রায়হান রিপন, শাহাদাত হোসেন, সামছুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ। নাটকের নেপথ্য কুশলীরা হলেন মীর ময়নুল হোসনে শিপলু, জাহাঙ্গীর রনি, আবদে রাব্বি নিঝুম, মুর্শিকুল আলম, লিটা প্রমুখ।
নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে ত্রিপুরার রাজ-পরিবারের ভুলে যাওয়া এক ইতিহাস আশ্রিত নাটক ‘রাজাবলি’; হিংস্র-শক্তির সঙ্গে অহিংস্র-শক্তির বিরোধিতাই এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পুজোর নৈবেদ্যর নামে পশুবলির মতো একটি জঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দ মাণিক্য রাজমন্দিরের পুরোহিত রঘুপতির ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেন। ঈর্ষাকাতর রঘুপতি দেবীর তুষ্টির কথা বলে মহারাজের বিরুদ্ধে প্রজাদের খেপিয়ে তোলেন। একই সঙ্গে হত্যার ষড়যন্ত্রও চলে। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে মহারাজ গোবিন্দ মাণিক্য এই প্রথা বন্ধ ও অপশক্তিকে পরাস্ত করে শুভশক্তির উদ্বোধন ঘটান। এরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদী হয়ে, ৭ মার্চ ১৯৭১, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এই মহান দিবসকে স্মরণ করতে ‘রাজাবলি’ মঞ্চায়ন করতে যাচ্ছে ‘নাট্যভূমি’।
