ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বড় বাধা সীমান্ত সন্ত্রাস

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৭ মার্চ ২০১৭

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা যে, অদূর ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান শীতল সম্পর্কের বরফ গলে বসন্তের হাওয়া বিরাজ করবে। এ ধারণার পেছনে যুক্তি হিসেবে পর পর বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়। যেমন পাকিস্তানের নতুন সার্ক মহাসচিব নিয়োগে ভারতের নমনীয় মনোভাব, ভারত-পাকিস্তানের কারাগারে আটক জেলেদের মুক্তিদান, এ মাসের শেষে লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য সিন্ধু নদ কমিশনের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি পাঠানো এবং সিন্ধুর পানি বণ্টন চুক্তি বিষয়ে দিল্লীর বৈরী অবস্থান থেকে সরে আসা। তবে যত যাই হোক ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সীমান্ত সন্ত্রাস। ভারতের প্রভাবশালী সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ভারত গভীরভাবে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে পাকিস্তানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে। এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানে অবস্থিত ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসীরা ভারতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে কাশ্মীর উপত্যকায় অস্থিরতা জিইয়ে রাখে কিনা সে বিষয়টিও বিবেচিত হবে। গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভের চরম প্রকাশ ঘটেছিল এবং এসবের পেছনে পাকিস্তান থেকে আগত সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাকিস্তানী মদদে ভারতের উড়ি ও পাঠানকোটে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালিত হয়েছে। তাই, এবার ভারত সরকার এ বিষয়ে অধিকতর সতর্ক। তবে ভারত কোনভাবেই পরিস্থিতিকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় না বলে উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক ও বন্দীবিনিময় বরাবরের মতো অব্যাহত রেখেছে। এতে উভয় দেশের মধ্যে অসহিষ্ণুতার উত্তাপ হ্রাস পাবেÑ যাতে দুটি দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার পথ খোলা থাকে। এদিকে, সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বিরোধ মীমাংসা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভারত বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব অনুযায়ী পাশাপাশি দুইটি পথ অবলম্বনের বিরোধিতা করেছে। বিশ্বব্যাংকের ফর্মূলা অনুসারে এই দুই পথের একটি হচ্ছে নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া, অপরটি সীমান্ত সন্ত্রাস, অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত রাজনৈতিক আলোচনা। ভারতের আপত্তির মুখে পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক তার দুই পথের ফর্মূলা থেকে সরে এসে কমিশনের পর্যায়ের বৈঠকে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব অর্পণ করে। এই উদ্যোগের প্রতি ভারত অনুকূল মনোভাব পোষণ করে লাহোরে অনুষ্ঠেয় সিন্ধু নদ কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে তার আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়। সবকিছু পর্যালোচনা করলে প্রতিবেশী দেশটির প্রতি ভারতের এখনকার আচরণ বেশ নমনীয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
×