ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আম উৎপাদনে দেশ সপ্তম, অষ্টম পেয়ারায়

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৬ মার্চ ২০১৭

আম উৎপাদনে দেশ সপ্তম, অষ্টম  পেয়ারায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানহীন পণ্য রফতানি করে দেশের সম্মান ক্ষুণœ করলে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পণ্য রফতানিতে মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের জোর দিতে হবে। খারাপ পণ্য রফতানি করে দেশের সম্মান ক্ষুণœ করলে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে কোন সরকারী কর্মকর্তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। রবিবার সকালে রাজধানীর বিআরসিতে বাংলাদেশ উদ্যান বিজ্ঞান সমিতির জাতীয় কনভেনশন-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি খাদ্য রফতানিকারকদের গুণগত মান বজায় রেখে খাদ্য রফতানির আহ্বান জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসল উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গত এক দশকে সবজি আবাদের পরিমাণ ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। হাইব্রিড নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন অনেকে। কিন্তু এখন তার সুফল পাচ্ছেন দেশের কৃষক ও জনগণ। তিনি বলেন, আম উৎপাদনে আমরা বিশ্বে ৭ম ও পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম। বিদেশী ফলে অনেকের আগ্রহ রয়েছে, তাতে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু আমার অনুরোধ দেশী ফলকে উন্নত করতে হবে। ফল সরবরাহে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফল সরবরাহে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। এসব ক্ষেত্রে ছোটখাটো খুব সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা যায়। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। অনৈতিকভাবে মানহীন খাদ্য রফতানিতে ব্যবসায়ীদের কোন সরকারী কর্মকর্তা সাহায্য করলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মানহীন খাদ্য রফতানিতে কোন কর্মকর্তা সহায়তা করলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। ভাল কাজের জন্য যেমন পুরস্কার রয়েছে, তেমনি খারাপ কাজের জন্য রয়েছে তিরস্কার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাছান। তিনি বলেন, দেশে ১০০ ধরনের সবজি ও ৭০ ধরনের ফল উৎপাদন হয়। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তারপরও পুষ্টিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা আহমেদ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ উদ্যান বিজ্ঞান সমিতির সদস্য সচিব ড. মদন গোপাল সাহা।
×