ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ পাট দিবস

শীঘ্রই তিন ফসলি পাট

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৬ মার্চ ২০১৭

শীঘ্রই তিন ফসলি পাট

এমদাদুল হক তুহিন ॥ পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাটকে এক ফসলি থেকে তিন ফসলিতে রূপান্তরের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর ফলে সারাবছরই দেশে পাট উৎপাদন হবে। উচ্চফলনশীল পাটের উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পাটের আঁশের মান হবে আরও ভাল, হবে আরও উন্নত। এমনকি পাটগাছ টিকে থাকবে বৈরী পরিবেশেও। পাটের জিনতত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে দেশে শীঘ্রই তিন ফসলি পাটের আবাদ শুরু হবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জিনমতত্ত্বের পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো তৈরি করতে যাচ্ছে পলিথিনের ন্যায় পাটের তৈরি শপিংব্যাগ। পাট দিয়ে তৈরি এ পলিথিন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে তা পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনতে চায় আরও একটি সুনাম। কেবল পাটের হারানো সোনালি ঐহিত্য ফিরিয়ে আনা-ই নয়, সরকারের লক্ষ্য রয়েছে পাটকে ক্রিকেটের সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে দেশে আজ প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৭’। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পাটপণ্যের বাংলাদেশ।’ পাট দিবস উপলক্ষে পাটের সাজে সেজেছে পুরো রাজধানী ঢাকা। নগরী ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর সড়কদ্বীপগুলোকে দেয়া হয়েছে পাটের সাজ। রাস্তার দু’ধারে পাটের কারুকাজ। ফুট ওভারব্রিজগুলো থেকে ঝুলছে পাট, যেন রাজধানীজুড়ে শুকানো হচ্ছে পাট! কোথাও আবার পাটখড়ি। এ ভঙ্গিমা বলছে, রাজধানী ফের ফিরে পেল হারানো সেই সোনালি ঐতিহ্য! এদিকে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পাটের জীবন রহস্য ও ৩ জিনম কোড বরাদ্দ ॥ ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমকে পাশে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই ঘোষণা বিশ্বে এক বিস্ময়। একই সময়ে পাটের জীবন রহস্য নিয়ে কাজ করছিল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও। তাদের টেক্কা দিয়ে মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এ সাফল্য অর্জন করেন। জিনম বলতে প্রাণী বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নক্সাকে বোঝায়। এ নক্সার ওপরই নির্ভর করে প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে গবেষণাগারে এ জিনবিন্যাস অদল-বদল করে উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন করা সম্ভব। পাটের জিনম সিকোয়েন্সকে জীবনচক্রও বলা হয়ে থাকে। জানা গেছে, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে তরুণ একদল বিজ্ঞানীকে নিয়ে তোষা পাটের জিন নক্সা উন্মোচন করেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাকসুদুলের নেতৃত্বে পরে ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের এক ছত্রাকের জিন নক্সা উন্মোচন করা হয়, যা পাটসহ প্রায় ৫০০ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়। ২০১৩ সালে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাটের তিনটি জিনম কোড বরাদ্দ পায়। আমেরিকায় অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার বায়োটেকনোলজি ইনফর্মেশন (এনসিবিআই) কর্তৃক এ বরাদ্দ পায় বাংলাদেশ। ফলে এর মাধ্যমে অর্জিত হয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জিনম কোড বরাদ্দের তথ্য জানান। পাটের জিনমের প্রায়োগিক অগ্রগতি ॥ পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনপরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি। তবে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্তত দুজন বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবন রহস্য উন্মোচনপরবর্তী কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মোঃ মনজুরুল আলম পাটের জিনতত্ত্ব নিয়ে নতুন কোন তথ্য জানাতে জনকণ্ঠের কাছে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, ড. শামিউল হক ও ড. শহিদুল হকের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োগলব্ধ গবেষণা করে চলছেন। তবে বিজ্ঞানীরা মুখে কুলুপ আঁটলেও মুখ খুলেছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাটকে আমরা তিন ফসলে নিয়ে যাব। অতিশীঘ্রই দেশে শীতকালীন, গ্রীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন পাট উৎপাদন হবে। দেশে আমরা সারাবছরই পাট উৎপাদন করতে পারব। এর ফলে বিশ্বের চাহিদাও মেটাতে পারব। জনকণ্ঠের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনপরবর্তী কার্যক্রমগুলো বিজ্ঞানীরা এগিয়ে নিচ্ছেন। পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারের ফলে উচ্চফলনশীলন পাট উৎপাদন, পাটের আঁশ আরও উন্নত ও পাটকে তিন ফসলিতে রূপান্তরকরণ সম্ভব হবে। তিন ফসলিতে রূপান্তরের পক্রিয়া চলছে। এখনও কিছু গবেষণা বাকি আছে। তিনি আরও বলেন, এর ফলে দেশে সারাবছরই পাটের আবাদ হবে। জীবনচক্র আবিষ্কারের ফলে পাটগাছের টিকে থাকার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। পাটের বর্তমান অবস্থা ও চাহিদা ॥ পাট অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৮৭ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী বছর প্রায় ৯০ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে ১৭টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ফলে বছরে ১২০ কোটি পিস পাটের বস্তার প্রয়োজন পড়বে। দেশে বহুমুখী পাটপণ্য রয়েছে প্রায় ২৫৯টি। এর কোন কোনটিতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পাটের মিশ্রণ রয়েছে। তথ্যমতে, দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পাটপণ্যের ব্যবহার। একই সঙ্গে বাড়ছে চাহিদা। প্রায় চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। এ প্রসঙ্গে পাট অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পাট) ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা জানান, দেশে বর্তমানে ২৫৯ ধরনের পাট পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে কোন কোনটিতে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত পাটের ব্যবহার হচ্ছে। সঙ্গে অন্য কোন উপকরণ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন বহুমুখী পণ্য। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, পাট থেকে বর্তমানে সব ধরনের পণ্যই তৈরি হচ্ছে। শাড়ি, স্যান্ডেল ও ব্যাগসহ সবই। মানুষের মধ্যেও পাটপণ্য ব্যবহারে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, পাটের প্রতি মানুষের যে বিরূপ মনোভাব ছিল তা এখন আর নেই। আমরা নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। কৃষকরা এখন পাটের উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ১৭টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ফলে বছরে ১২০ কোটি পিস পাটের বস্তা প্রয়োজন পড়বে। আর আগামী বছর প্রায় ৯০ কোটি বেল পাট উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। জাতীয় পাট দিবসে ৮ দিনের কর্মসূচী ॥ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় পাট দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে শনিবার বিকেলে হাতিরঝিলে নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ২০০ ফুট পাটের ক্যানভাসে চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এতে অংশ নেন দেশের চারুশিল্পীরা। এদিকে আজ সোমবার দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের চারপাশের রাস্তায় অনুষ্ঠিত হবে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি। ৯ মার্চ সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মেলা চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় ১৩৫ রকমের পণ্য পাওয়া যাবে। পাট অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পাট) ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা জানান, দেশে বর্তমানে ২৫৯ ধরনের পাটপণ্য রয়েছে। এর মধ্যে কোন কোনটিতে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত পাটের ব্যবহার হচ্ছে। সঙ্গে অন্য কোন উপকরণ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন বহুমুখী পণ্য। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম বলেন, পাট থেকে বর্তমানে সব ধরনের পণ্যই তৈরি হচ্ছে। শাড়ি, স্যান্ডেল ও ব্যাগসহ সবই। মানুষের মধ্যেও পাটপণ্য ব্যবহারে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে, জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে পাটের তৈরি জামদানি শাড়ি, স্যান্ডেল ও ব্যাগ উপহার দিয়েছে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় জামদানি শাড়ি পরে আসার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পীকারকে আমরা পাটের তৈরি জামদানি শাড়ি, স্যান্ডেল ও ব্যাগ উপহার দিয়েছি। বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাটের তৈরি জামদানি শাড়ি পরে আসার কথা রয়েছে। ২০০ ফুট পাটের ক্যানভাসে চিত্রাঙ্কন, লক্ষ্য গিনেস বুকে রেকর্ড ॥ বিশ্বে এমন কোন নজির নেই যেখানে ২০০ ফুট পাটের ক্যানভাসে চিত্রাঙ্কন হয়েছে। দেশে এবারই তা প্রথমবারে মতো হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নাম ওঠাতে চায় গিনেস বুকে। রবিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ চিত্রাঙ্কন শুরু হয়। জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এ অভিনব আয়োজন করে। এতে অংশ নেন দেশের প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী ও চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এর আগে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এবং পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে এ চিত্রাঙ্কনের উদ্বোধন করেন। এর আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, দেশের সম্পদ পাট রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাটের হারানো ঐহিত্য আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, চাষীর ঘরে জন্ম নেয়ায় আমি গর্ববোধ করি। আমি পাট নিড়ানো থেকে শুরু করে ফড়িয়া পর্যন্ত করেছি। সে পাটের ফড়িয়া আজ পাটমন্ত্রী। পাটের ফড়িয়া থেকে কিভাবে পাটমন্ত্রী হলাম তা আমার মাথায় আসে না। পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বর্তমানে পাট থেকে হাজার রকমের বহুমুখী পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। গত বছর পাট রফতানি থেকে এক বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে পাট থেকে পলিথিন উৎপাদন হচ্ছে, যা পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিন উৎপাদন করছি, যা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ পলিথিন শুধু বাংলাদেশে নয়, এর চাহিদা সৃষ্টি হবে সারাবিশ্বে। সারাবিশ্বের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগমীতে ৫ কোটি বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হবে। তিনি আরও বলেন, পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাটকে আমরা তিন ফসলে নিয়ে যাব। অতিশীঘ্রই দেশে শীতকালীন, গ্রীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন পাট উৎপাদন হবে। দেশে আমরা সারাবছরই পাট উৎপাদন করতে পারব। জনকণ্ঠের করা এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী আজম বলেন, ক্রিটেকে যেমন বিশ্বজয় করেছি, পাটেও আমরা বিশ্বজয় করতে চাই। পাটকে আমরা বিশ্বজয়ের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই।
×