ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর্সেনালকে হারিয়ে ছন্দে লিভারপুল

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৬ মার্চ ২০১৭

আর্সেনালকে হারিয়ে ছন্দে লিভারপুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আচমকাই যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল লিভারপুল। অবশেষে দলটি আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শনিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শক্তিশালী আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। নিজেদের মাঠ এ্যানফিল্ডে দ্য রেডসদের হয়ে গোলগুলো করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রবার্টো ফিরমিনো, সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাডিও মানে ও জর্জিনহো ভিনালডাম। একই রাতে হোঁচট খেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠ ওল্ডট্র্যাফোর্ডে বোর্নমাউথের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ম্যানইউ। তবে রূপকথার নায়ক ক্লাউডিও র‌্যানিয়েরিকে বরখাস্ত করার পর যেন জেগে উঠেছে লিচেস্টার সিটি। র‌্যানিয়েরি পরবর্তী প্রথম ম্যাচে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর পরশু রাতে হাল সিটিকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার। দারুণ এই জয়ে অবনমন অঞ্চল থেকেও উঠে এসেছে দলটি। বর্তমানে ২৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম অবস্থানে লিচেস্টার। আর্সেনালকে হারিয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে লিভারপুল। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের অবস্থান পঞ্চম। এ্যানফিল্ডে ম্যাচের নবম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডানদিক থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ঢুকে সাডিও মানের পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিরমিনো (১-০)। ম্যাচের ৪০ মিনিটে এই দু’জনের নৈপুণ্যেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। বাঁদিক থেকে ফিরমিনোর পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে (২-০)। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে ড্যানি ওয়েলবেক একটি গোল পরিশোধ করে ব্যবধান কমালে লড়াইয়ে ফিরে আসে আর্সেনাল। সানচেজের বাড়ানো বল নিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড (২-১)। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ডিভক অরিজির যোগান থেকে পাওয়া বল আর্সেনালের জালে জড়িয়ে দিয়ে জর্জিনিয়ো ভিনালডাম ফের এগিয়ে দেন লিভারপুলকে (৩-১)। এই গোলে জার্গেন ক্লপের দলের জয় নিশ্চিত হয়। মূলত এ্যালেক্সিস সানচেজকে সেরা একাদশের বাইরে রেখে দল গড়ার খেসারত দিতে হয়েছে আর্সেনালকে। চিলির আন্তর্জাতিক তারকাকে একাদশে না রাখায় কোন অনুশোচনা নেই ফরাসী কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের। এমিরেটসে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করা আর্সেনাল কোচ সানচেজকে সাইডলাইনে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন আকস্মিকভাবেই। প্রথমার্ধের বিরতির পর তাকে মাঠে নামান ওয়েঙ্গার। যদিও নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে গানার্স কোচ বলেছেন, কৌশলগত কারণেই এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন তিনি। দাবি করেছেন এজন্য মোটেই তিনি অনুতপ্ত নন। ম্যাচ শেষে ওয়েঙ্গার বলেন, হারের জন্য ছাড়া আমার আর কোন বিশেষ অনুশোচনা নেই। খেলাটি থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধা আদায়ের চিন্তা থেকেই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম উপরের বল ধরতে বেশি পারদর্শী দু’জন শক্তিশালী খেলোয়াড়কে খেলাতে। ওই কারণে সানচেজকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয়েছে।
×