ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ বিষয়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৬ মার্চ ২০১৭

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ বিষয়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

মিহির রঞ্জন তালুকদার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও প্রভাষক-বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, সিলেট। মোবাইল : ০১৭১২৪৮৭৪৪৮ সুপ্রিয় পরীক্ষার্থীবৃন্দ: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য এই পরীক্ষা তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোনো একটি বিষয়ে হোচট্ খেলেই ধুলিস্যাত হয়ে যেতে পারে তোমাদের উচ্চশিক্ষা লাভের সোনালি স্বপ্ন। কাজেই সবগুলো বিষয়ের উপরই ভাল দখল রাখতে হবে। এ বছর একজন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েও দিতে চাচ্ছে মান-উন্নয়ন পরীক্ষা। কারন কোনো একটি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নাস্বার ছিল না। ফলে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেনি ঐ ছাত্র। কিন্তু তাকে এখনও মান-উন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ করে দেয়নি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। তাহলে তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এখানেই থেমে গেল।ঐ ছাত্রের উচ্চশিক্ষার আগ্রহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কজন ছাত্রেরইবা এ ধরনের আগ্রহ তাকে। তোমরা ইতিমধ্যে জেনেছ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সৃজনশীল অংশ থেকে মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে এর মধ্যে থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। কাজেই এই বিষয়ে ভাল ফলাফল করার জন্য অবশ্যই সৃজনশীল অংশে গুরুত্ব দিতে হবে। বিষয়টি যেহেতু টেকনিক্যাল তাই অপ্রাসঙ্গিক কিছু না লিখাই ভাল। যেমন প্রশ্ন আসল চাঁদে না গিয়েও কীভাবে চাঁদে যাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যায় সেই প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর। এখানে যে বিষয়টির কথা বলা হয়েছে সে বিষয়টি আগে বুঝতে হবে। এখানে একটি প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে আর সেটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কেই লিখতে হবে কিন্তু দেখা যায় অনেকেই চাঁদে যাওয়ার ইতিহাস লিখে ফেলে। যেমন- নিল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদে গিয়েছিল ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু যে বিষয়ের উপর লিখতে বলা হয়েছে তার ধারে কাছেও যায়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে ঐ প্রশ্নে নম্বর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আবার অনেক প্রশ্নে যখন কোনো প্্েরাগ্রাম লিখতে বলা হয় সেখানে হয়ত সি কিংবা সি++ দিয়ে লেখা যায় কিন্তু সেখানে অনেকেই এইচটিএমএল কোড লিখে আসে। এখানেও পরীক্ষক প্রশ্নোত্তর না পড়েই কেটে দিতে পারে। কিন্তু প্রোগ্রাম সি কিংবা সি++ দিয়ে লিখলে যদি ভুলও হয় লাইব্রেরি ফাংশন, ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন ইত্যাদি ঠিক থাকলে এক্ষেত্রে নম্বর পাওয়া যাবে। আবার অনেকেই দেখা যায় সৃজনশীলে ভালো করেও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় এর মূল কারণ বহুনির্বাচনী অংশে সে খারাপ করেছে। অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষককের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং পুণনিরীক্ষণ করেও কোনো লাভ হয় না। কাজেই বহুনির্বাচনী অংশও ভালভাবে পড়তে হবে এবং গাণিতিক অংশগুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে। ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে পারলেই এ অংশে অনেক ভালো করা যায়। আর যেহেতু ব্যবহারিং অংশে ২৫ নম্বর রয়েছে ফলে এই বিষয়ে একটু পরিশ্রম করলে সহজেই এ+ পাওয়া যায়। তোমাদের জন্য ছোট আর একটি উপদেশ তোমরা পরীক্ষার হলে কোনো গোলমাল করবে না। গত এসএসসি পরীক্ষার খবর নিশ্চই যান, অনেক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। পরীক্ষার হলে পরীক্ষকের নির্দেশমত চলবে। কোনো রকম তর্কে জড়াবে না। এতে তোমাদেরই ক্ষতি। সময় নষ্ট হয় এবং পরীক্ষায় মনযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। মনে রাখবে পরীক্ষায় শুধু অসধুপায় অবলম্বনের জন্য নয় অসধাচরনের জন্য বহিষ্কার হয়।
×