ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিষ্কাশন খাল ভরাট করে ফ্যাক্টরি ॥ ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৬ মার্চ ২০১৭

নিষ্কাশন খাল ভরাট  করে ফ্যাক্টরি ॥ ক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৫ মার্চ ॥ বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন একটি প্রতিষ্ঠানের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির স্থাপনা নির্মাণের জন্য খুঁটি ও পাইলিং কাজ করার সময় এলাকার শত বছরের পুরনো একটি নিষ্কাশন খাল ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ খালটি শীতলক্ষ্যা নদী থেকে কুঁড়িপাড়া হয়ে মদনপুর দিয়ে সোনারগাঁয়ের কাশিপুর, বড় চেঙ্গাইন, কাঁচপুর, বড়ভিটা, কইল্লাহ ভিটা হয়ে গঙ্গাপুর এলাকায় মিশেছে। খালটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নির্মাণের সময় মাটি দিয়ে উক্ত খালের ১০০-১৫০ ফুট লম্বা অংশের প্রশস্তের অধিকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। ফলে বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুর, চাঁনপুর, দেওয়ানবাগ ও কলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবহৃত পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্যমিশ্রিত পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার পানি মূল খালে এসে পড়তে না পাড়ায় কয়েক জায়গায় ময়লা পানি জমে পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। এতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দরা অভিযোগ করেন। খালটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, ইপিলিয়ন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে মাটি পড়ে খাল ভরাট হয়ে গেছে। আমরা লোকজন নিয়ে ওই নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরিতে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে, যখন কাউন্ডারি করা হবে তখন আবার তারা খালটি পরিষ্কার করে দেবে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে ইপিলিয়ন গ্রুপের কমার্শিয়াল ম্যানেজার কবির হোসেন জানান, সরকারী জমি দখল করার ইচ্ছা আমাদের নেই। নির্মাণাধীন এ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিটি চালু হলে এখানে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এটা হবে গ্রীন কারখানা। সরকারী জমি দখল করে কারখানা করলে গ্রীন কারখানা হবে না। তবে আমরা কোন খাল দখল করিনি। এ বিষয়ে লোকজন আমাদের ফোন করে বিরক্ত করে ফেলেছে। কাজ শেষে হলে যতটুকু মাটি পড়েছে তা আবার পরিষ্কার করে দেয়া হবে। খালটি দিয়ে যাতে বিনা বাধায় পানি প্রবাহিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
×