ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৬ মার্চ ২০১৭

নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ৫ মার্চ ॥ লোহাগড়ায় অষ্টম শ্রেণীর (১৪) স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার অভিযুক্ত আল আমিন শেখকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক সন্তানের জনক আল আমিন লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে। এ সময় অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া উপজেলার ঝিকড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে নড়াইল সদরের কামালপ্রতাপ এসজে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে আল আমিন। এক বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার সময় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপর আল আমিন লোহাগড়ার চরআড়িয়ারা গ্রামে তার এক আত্মীয়বাড়িতে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করে। এদিকে স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও এতদিনে তার কোন সন্ধান পায়নি। একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপাশা বাসস্ট্যান্ডে স্কুলছাত্রীর পরিচিতজন এক যুবকের (আল আমিন) সঙ্গে তাকে দেখতে পেয়ে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে আল আমিন এবং ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় আল আমিনকে পুলিশে সোপর্দ এবং স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে নেয়া হয়। স্বজনরা জানান, প্রায় দুই বছর আগে কামালপ্রতাপ এসজে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে আমিন শেখের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের কথোপকথন চলতে থাকে। স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় গোপন রেখে আল আমিন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেয়। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সুযোগ বুঝে আল আমিন তাকে অপহরণ করে। স্কুলছাত্রী জানায়, অপহরণের পর ১০ দিন আটকে রেখে আল আমিন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
×