ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ৬ মার্চ ২০১৭

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বসাহিত্যে ঢেউতোলা হাতেগোনা কয়েকজন সাহিত্য সাধকের একজন গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ৬ মার্চ কলম্বিয়ার আরকাতারায়। কিংবদন্তির এই লেখকের শৈশব-কৈশোর কেটেছে আমাদের হারানো অতীতের মতো উষ্ণ-আর্দ্র ধূলিধূসরতায়। নানির কাছ থেকে তিনি বহু কেচ্ছাকাহিনী শুনে বড় হয়েছেন। তার নানি ছিলেন স্বপ্নে পাওয়া বাণীর আলোকে পারিবারিক সংহতি বজায় রাখতে সদাসতর্ক। তিনি মার্কেজকে শোনাতেন তাদের পরিবারের এমন সব কিংবদন্তির কেচ্ছা, রূপকথা যার জন্য বাস্তবতাকে বুঝে নেয়ার সূক্ষ্মতা যা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অতিপ্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে চিহ্নিত। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ বিশ্বসাহিত্যে নতুন ধারা সংযোজন করে ইহলোক ত্যাগ করেছেন ২০১৪-এর ১৭ এপ্রিল (৮৭ বছর বয়সে)। তিনি কুহুক আর বাস্তবের রহস্যময়তায় কাহিনীকে সাজাবার বিস্ময়কর উদ্ভাবনী নৈপুণ্যতায় আর ভাষার অপ্রত্যাশিত কৃতকৌশলে ইতিহাসের দিকে তাকাবার নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জনক। আইন পেশা ছেড়ে গ্যাব্রিয়েল ১৯৪৮-এর ২১ মে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এখানেই তিনি শিখে নেন উপাখ্যান রচনার মূলমন্ত্র; অর্থাৎ কী করে বাস্তবতার ভেতর কল্পনার অনুপ্রবেশ ঘটানো সম্ভব। কার্তাহেনার দৈনিকটিতে তিনি দেড় বছর কাজ করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে তিনি যোগ দেন ‘এল হেরালদো’ নামের একটি দৈনিকে। এই পত্রিকায় তিনি ‘সেপ্তিমুস’ নামের উদ্ভট ছদ্মনামে শ্লেষ-পরিহাস আর রসিকতায় ভরা একটি লেখা লিখতেন নিয়মিত। লেখাটি ‘জিরাফ’ শিরোনামে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ওই লেখাগুলোতে ছিল মাকান্দো নামের একটি গ্রামের বর্ণনা। পরে এই গ্রামের কাহিনীই গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের কলমে ‘পাতার ঝড়’ এবং ‘নিঃসঙ্গতার এক শ’ বছর’ উপন্যাসে স্থান পায়। উপন্যাস রচনা করে যিনি বছরের পর বছর একজন প্রকাশক খুঁজে পাননি তিনিই বিশ্বের অন্যতম সেরা লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পান। যার বই বেরুনো মাত্র লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়ে যায়। বিশ্বে তা নানা ভাষায় অনুবাদ করার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যেত। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের সেই জনপ্রিয়তা এতই অভূতপূর্ব যে, ভাবতে গেলে ভাবুক নিজের অজান্তেই এক মায়াবী ভুবনের সন্ধান পায়, যার দেখা মেলে কেবল স্বপ্নের ভেতর; সে এমন এক আশ্চর্য সুন্দর জগত যা একই সঙ্গে অতি মনোরম আর অতি চেনা অথচ তা যেন ছিল সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা আর কল্পনাতীত হয়ে। গার্সিয়ার দাদা ছিলেন সৈনিক। তিনি তার যৌবনে ঘটে যাওয়া অসংখ্য গৃহযুদ্ধের কাহিনী নাতিকে শোনাতেন, যেমন আমরা শুনেছি ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি কিছুদিন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন। এই সময় তিনি নাকি বিশ্বকোষ এবং চিকিৎসা বিদ্যার বইসমূহ ফেরি করেন। তার এক বন্ধু আলভারো সেমুদিও, যাকে তার বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়া মহাকাব্যিক উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গতার এক শ’ বছর’-এ প্রথমবারের মতো তাকে দেখা যাবে জ্ঞানী কাতারিনোর পুরনো-পরিত্যক্ত বইয়ের দোকানে ঝগড়ার মতো এক উত্তপ্ত বিতর্কিত অবস্থায়। তারা পরস্পরের মধ্যে বিতর্কে লিপ্ত হবে মধ্যযুগে তেলাপোকা কিভাবে মারা হতো তাই নিয়ে। আর সেই একই সঙ্গে, সেই একই অনন্ত মুহূর্তে এমন এক জারজের সঙ্গে তাদের পরিচয় হবে, যার দিন শুরু হয় মেলকিয়াদেসের পার্চমেন্টের অর্থোদ্ধারের মধ্য দিয়ে আর শেষ হয় নিগ্রোমারান্তার বিছানায়। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ল্যাটিন আমেরিকার তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার যে চিত্র তার নানির কাছে শুনেছিলেন তার সঙ্গে কল্পনার সংমিশ্রণে রচনা করেন মহাকাব্যিক উপন্যাস। কাহিনীর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে উপচেপড়া হাসি, অশ্রুজলের ঢল এমন নিরন্তর কৌতুক আর গভীর বাস্তবতা বনাম বায়বীয় বাস্তবতার অবাস্তবতা যে, এই একটি মাত্র উপন্যাসের মাধ্যমে মার্কেজ ল্যাটিন আমেরিকার সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের উচ্চ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই বইটি লেখার আগে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছোট গল্পের বই লেখেন, যে গল্পে সেপেদা সামুদিও নামের এক ট্রাক ড্রাইভারের কাহিনী। সে থাকত সেই স্কোয়ারের সামনের একটি বাড়িতে, যেখানে ধর্মঘটী মিল শ্রমিকদের ওপর সামরিক বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে নৃশংস হত্যাকা- চালায়। প্রকৃতপক্ষে ওই ট্রাক ড্রাইভার চরিত্রের নায়ক লেখক স্বয়ং গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তার এই জনপ্রিয় গল্পকে ‘কমিউনিকেশন রিয়েলিজম’ বা যোগসূত্রের বাস্তবতাই বলা হয়। এই বছরই অক্টোবরে তিনি মরুভূমি থেকে ফিরে এসে বারবানিকিয়ার অন্য আরেকটি দৈনিক ‘এল নাসিওনাল’-এ যোগদান করেন প্রধান সম্পাদক হিসেবে। এই মুখরোচক দৈনিকটি ছিল বড় লোকদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির যাবতীয় তথ্য ফাঁস করে দেয়ার একটা বহুল আলোচিত কাগজ। পত্রিকটি জনপ্রিয়তা পায় তার লেখনীতে। তবে মজার ব্যাপার হলো পত্রিকাটির কোন লেখাতেই তিনি তার নাম প্রকাশ করতেন না। তিনি এই পত্রিকায় তিন মাস কাজ করার পর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে যোগ দেন কলম্বিয়ার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘এল এসপেক্তোদোর’-এর সম্পাদক হিসেবে। সেখানেও তিনি স্বনামে লিখতেন না। ছদ্মনামে লিখতেন। পাশাপাশি তিনি নিজেই একটি সিনেমা বিষয়ক সাপ্তাহিক কাগজ প্রকাশ করতেন। সেটাই ছিল কলম্বিয়ার কোন সিনেমা বিষয়ক প্রথম পত্রিকা। সেখানে তিনি তার নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করতেন। মার্কেজের রচনায় বিশেষণের ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু যদি কোথাও সেটার সন্ধান মেলে দেখা যাবে সেটা এক অপ্রত্যাশিত তাৎপর্যে উজ্জ্বল হয়ে সামগ্রিক অবস্থায় চরিত্র আরও সজীব হয়ে ফুটে উঠেছে এবং অবশ্যই তা সবার জন্য। তাতে তার কাহিনীর শ্বাসরুদ্ধ গতির একটুও হেরফের হয়নি; বরং পরতে পরতে মিশে গেছে রঙ্গ-কৌতুক, শ্লেষ, যেন শব্দের সব মুহূর্তে বারুদে ঠাসা হয়ে গেছে। মার্কেজের লেখা ‘কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না’ উপন্যাসটি মূলত রক্ষণশীল আর উদারপন্থীদের মধ্যে এক তুলকালাম গৃহযুদ্ধের সময়কার কাহিনী, যেটি ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঘটেছিল। এই একই বিষয়ের ওপর কলোম্বিয়ায় অসংখ্য গল্প-উপন্যাস রচিত হয়েছিল। কিন্তু গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের মতো এমন সূক্ষ্ম শিল্পিতার বোধে কেউই সেই গৃহযুদ্ধের স্বরূপটি উদ্ঘাটন ও উপস্থাপন করতে পারেনি। যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসে লেখকরা রক্তাক্ত ও পাশবিকতার, আক্রমণ আর প্রতিআক্রমণে, বীরের চেয়ে বীর বানানোর চেষ্টায় আর সব হিংস্রতার বর্ণনাতেই যেমন মত্ত হয়ে ওঠেন, ধারাবিবরণী দেন খুনোখুনীর, গেরিলা লড়াইয়ের আর তার নকল আবেগে পরিবেশটি পরিণত হয় নিছক একটা মারদাঙ্গা গল্পে, ওদের ক্ষেত্রেও ঠিক ওই একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু মার্কেজ উপস্থাপন করেছেন অন্যভাবে, অন্যরকমভাবে। তার মতে সেখানে কিছুই ঘটছে না। অথচ সবাই মুখে কুলুপ এঁটে আছে আতঙ্কে। ভেতরে ভয়ে-তড়াশে, উৎকণ্ঠায় একাকার, এর ভেতরেই রোজকার কাজকর্ম সারছে যন্ত্রের মতো। কারণ, এক বাজনাদারের মৃত্যু সংবাদে কর্নেলকে বলতে শোনা যায় ‘অনেক বছরের ভেতর এই প্রথম স্বাভাবিকভাবে কারও মৃত্যু হলো!’ এই সময়ই তিনি লেখেন আরও একটি উপন্যাস ‘ইন ইভিল আওয়ার’ বা অশুভলগ্ন। এটাতেও তিনি সেই একই বিস্ময়কর উদ্ভাবনী কৌশলে সময়ের রহস্যটাকেই উন্মোচন করেছেন। এই উপন্যাসটি শেষ করে তিনি ল-নে কাটিয়ে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে যোগ দেন কারাকাসের সাপ্তাহিক কাগজ ‘মোমেস্তো’-তে। সেখানে তার পরিচয় হয় কিউবার মহান ঔপন্যাসিক আলেহা কার্পেন্তিয়রের সঙ্গে, যিনি সর্বপ্রথম কুহকে ভরা বাস্তবতার কথাটি বলেছিলেন। তিনি বাতিস্তার জেল থেকে বেরিয়ে কারাকাসে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। সাংবাদিকতা ছিল গ্যাব্রিয়েল মার্কেজের একমাত্র পেশা। এটাকে তিনি ভুলে যাননি। এমনকি যখন সাহিত্য নিয়ে তিনি মহাব্যস্ত তখনও। কারণ, এই পেশাই ছিল তার একমাত্র বাস্তব ও অর্থকরী মাধ্যম, যা তাকে জিইয়ে রেখেছিল, টিকিয়ে রেখেছিল এই জগত সংসারে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ বরাবরই সাংবাদিক হিসেবে খবরের কাগজে যেমন তৎপর ছিলেন তেমনি নিবেদিত ছিলেন গণমাধ্যমগুলোর নতুন নতুন সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে। স্কুলের গ-ি পেরিয়ে তিনি কলেজে প্রবেশ করার আগেই নিজে একটি কাগজ বের করতেন। আর তার আগেই তিনি স্থানীয় কাগজে ছোটখাটো প্রতিবেদন লিখতে শুরু করেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি তার লেখক বন্ধুদের নিয়ে বারবানকিয়ায় একটি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন, যার নাম ছিল ‘ক্রনিকা’। এই লিটল ম্যাগাজিনে তিনি আট মাস সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ‘কোম্প্রিমিদো’ নামে একটি কাগজ প্রকাশ করেন। যেটাকে তিনি আখ্যায়িত করেছেন জগতের সবচেয়ে খুদে পত্রিকা। ১৯৬২ সালে জন্ম হয় তার দ্বিতীয় সন্তান গনসালোনের। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তাকে অন্যত্র বদলি করলে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন এবং মেহিকোতে আস্তানা গাড়েন। এখানে তিনি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন। এখান থেকেই তিনি কোন্ খেয়ালে বেড়াতে যান আকাপুলকো নামক একটি স্থানে। সেখানেই তিনি পেয়ে যান ‘ নিঃসঙ্গতার এক শ’ বছরের উপখ্যানটির প্লট। তিনি সেখান থেকে ফিরে এস ঘরে প্রবেশ করেন আঠারো মাসের জন্য। দরজা বন্ধ করে বা হুড়কোটা এঁটে আঠারো মাস এক নাগাড়ে বইটি লেখেন। পা-ুলিপিটি হাতে নিয়ে যেদিন ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন সেদিন তার স্ত্রীর কাছে জমা হয়েছে দশ হাজার ডলারের দেনা। ‘হান্ড্রেডস ইয়ার অব সলিচ্যুউট’ (নিঃসঙ্গতার এক শ’ বছর) উপন্যাসটি প্রকাশ হয় ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে। বইটির অভাবিত সাফল্য ও খ্যাতি রাতারাতি জগতটাকে এমন হকচকিয়ে দেয়, ঝাঁকুনি দেয় যেন শুধু ল্যাটিন আমেরিকার কথাসাহিত্যের ধরনটাই এমন ভিন্ন নয়; বরং একটা নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার মতোই রোমাঞ্চকর উত্তেজনায় ভরা। ‘নিঃসঙ্গতার একশ’ বছর’ উপন্যাসের জন্য ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে নোবেল জয় করেন গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তার আর যে উপন্যাসটি চরম সাফল্য আর খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয় সেটি হলো ‘কুলপতির হেমন্ত’। তার লেখা ‘একটি মৃত্যুর পূর্বঘোষিত দিনপঞ্জি’ এবং ‘কলেরার মহামারীতে প্রেম’ অসাধারণ উপন্যাস। ‘লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা’ (কলেরার মহামারীতে প্রেম) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ হয়। এটি শুধু একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাসই নয়, এটি বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম ক্ল্যাসিক সাহিত্য। গ্যাব্রিয়েল মার্কেজ যদি নোবেল পুরস্কার না পেতেন তা হলে হয়ত আরও এক শ’ বছর পরেও জল্পনা-কল্পনা করা হতো ‘ম্যাজিক রিয়েলিজম’ নিয়ে। কালজয়ী লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তার লেখনীর দ্বারা শুধু নোবেল জয় করেননি, তিনি সারা বিশ্বে সাংবাদিকদের মুখও উজ্জ্বল করে গেছেন। আজ তার জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। লেখক : সাংবাদিক
×