ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সঠিক খবর তুলে ধরতে চায় মার্কিন গণমাধ্যম

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৬ মার্চ ২০১৭

সঠিক খবর তুলে ধরতে চায় মার্কিন গণমাধ্যম

ডোনাল্ড ট্রাস্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই হোয়াইট হাউসের তোপের মুখে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া হাউসগুলো। এ অবস্থায় মিডিয়াগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে আসার চেষ্টা করছে। তবে এ জন্য তথ্য বিকৃত করা নয়। বরং তারা যেটিকে সঠিক মনে করে সেটি প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। খবর এএফপির। অন্যসব ঘটনা বাদ দিয়ে সংবাদদাতা এবং সংবাদমাধ্যমগুলোই যে সংবাদের খোরাকে পরিণত হয়েছে মিডিয়া হাউসগুলো এখন এটি ভালভাবেই বুঝতে পারছে। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো ‘ভুয়া সংবাদ’ দিচ্ছে এবং মিডিয়াকে তিনি ‘জনগণের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন। এরপর থেকে মিডিয়াগুলোর সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। বেশির ভাগ সংবাদ মাধ্যম এখন বলছে তারা তাদের দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতার সহযোগী অধ্যাপক রিচার্ড বেনেডিটো বলেছেন, ‘কাজটি কঠিন হবে, তবে এটি ন্যায়সঙ্গত।’ উল্লেখ্য, বেনেডিটো এক সময় ইউএসএ টুডে’র হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি ছিলেন। হোয়াইট হাউস যে মিডিয়ার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে তার পেছনে কারণ আছে বলেও অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। গত মাসে এনবিসি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে আমেরিকার ৫৩ শতাংশ লোক মনে করে মিডিয়াগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের বিষয়ে তথ্য অতিরঞ্জন করছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের অভিষেক হওয়ার আগে পলিটিকো পত্রিকার নিবন্ধকার জ্যাক শেফার লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্পের ওয়াশিংটনের সংবাদ কভার করা গণমাধ্যমগুলোর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ কভার করার মতোই কঠিন বিষয় হবে। কারণ এখন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষভাবে খবর সংগ্রহ করাই কঠিন। সেখানে সাংবাদিকদের কোন এ্যাসাইনমেন্টে যাওয়া যেন জীবন-মরণ ইস্যু।’ রয়টার্সের এডিটর ইন চীফ বলেছেন, ‘সংবাদ সংস্থাগুলো এখন যে নীতি অনুসরণ করবে বলে ঠিক করেছে সেটি নতুন কিছু নয়। যেসব দেশে সরকার গণমাধ্যমের প্রতি বৈরী সেখানেও তারা এই নীতি অনুসরণ করে থাকে। সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তার মধ্যে সেরাটাই করে থাকে। যেখানে তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন বা করলেও পুরো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না সেখানে সাংবাদিক দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে যতটুকু তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করে থাকে বলে তিনি জানান। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কারেন নর্থ বলছেন, ‘বস্তুনিষ্ঠতা ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে।
×