ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বাজেটে কার্বন ট্যাক্স আরোপ হতে পারে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৬ মার্চ ২০১৭

নতুন বাজেটে কার্বন ট্যাক্স আরোপ হতে পারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে কার্বন ট্যাক্স আরোপ হতে পারে। পরিবেশের ওপর ‘বিশেষ নজর’ দিতে কার্বন নিঃসরণের ওপর করারোপ করে একদিকে পরিবেশ রক্ষা অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ের নতুন খাত উন্মোচনের পদক্ষেপ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ব্যবস্থা আরোপ করতে পারেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটের আকার প্রায় চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। স্বাভাবিক বাজেট ব্যয় সংকুলানের জন্য রাজস্ব আদায়ের দিকেও নজর দিতে হবে। এ জন্য পরিবেশের বিরূপ প্রভাব হচ্ছে এমন খাতগুলোতে কার্বন ট্যাক্স আরোপসহ মানব স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর জাঙ্কফুডের ওপর নতুন করারোপ করা হবে। তবে এর মধ্যে কার্বন ট্যাক্সকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ, এটি যে শুধু পরিবেশ দূষণ রোধে ভূমিকা পালন করবে তা নয়, বরং রাজস্ব আয়েরও একটি বড় দিক উন্মোচন করবে। সূত্র জানায়, শিল্প-কারখানা থেকে বের হওয়া কার্বনের ওপর এ ট্যাক্স বসানো হবে। রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ পরিবেশের ওপর বিরূপ ক্ষতি কমাতে এ ট্যাক্স আরোপের উদ্যোগ নেয়া হবে। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাতে এই কর আদায় করা হতে পারে। কার্বন ট্যাক্স আরোপের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কার্বন ট্যাক্স ও জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে যেন কোন বিকৃতি না ঘটে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। রাজস্ব আয় বাড়াতে বাংলাদেশে ‘কার্বন ট্যাক্স’ আরোপের পক্ষে সায় দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সবচেয়ে কম রয়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে কার্বন ট্যাক্স আরোপ করা যেতে পারে। এই ট্যাক্স আরোপ করা হলে রাজস্ব ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করে সংস্থাটি। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর। এর আগে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই কার্বন ট্যাক্স বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের মতামত চাওয়া হয়েছিল। গত বছর ঢাকা সফরকালে সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেটা ডিক্সনের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে একটি নোট তাদের দেয়া হয়। এই নোটে যুক্তি দেয়া হয়, কার্বন মূল্যকে গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণের সবচেয়ে ভালো উপায়। এ ক্ষেত্রে কার্বন ট্যাক্সের কথা বলা হয়। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অভ্যন্তরীণ বাজারে সময়ে সময়ে তেলের মূল্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকার কারণে এখানে কার্বন ট্যাক্সে সূচনা করা যেতে পারে।
×