ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিন্স প্যান্টের আশি ভাগই সরবরাহ হচ্ছে কেরানীগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৬ মার্চ ২০১৭

জিন্স প্যান্টের আশি ভাগই সরবরাহ হচ্ছে কেরানীগঞ্জ থেকে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের অন্যতম পোশাক রফতানিকারক দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পোশাকের বাজারও ছোট নয়। আর এই বাজারের জিন্স প্যান্টের চাহিদার প্রায় আশি ভাগই সরবরাহ করা হয় কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জের গার্মেন্টস কারখানাগুলো থেকে। দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ব্যবসা চললেও বর্তমানে এখানকার ব্যবসার দুর্দিন চলছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ জন্য, কারখানার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করেছেন পুরনো ব্যবসায়ীরা। নব্বইয়ের দশক থেকে বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ-খেজুরতলা এলাকায় প্রায় তিন হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদার প্রায় আঁশি ভাগ জিন্সই আসে এখানকার কারখানা থেকে। স্থানীয় শো-রুমের মাধ্যমে এসব পোশাক পৌঁছে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মার্কেট। পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘এখানে কাজ করে তারা নিজেদের খরচটা বহন করতে পারছি। বাবা-মায়ের ওপর চাপ কম পড়ছে। তাদের একটু সাহায্য করতে পারছি। এছাড়া ভাইবোনদের পড়াশুনা শেখাতে পারছি।’ অপর একজন বলেন, ‘চার বছর আগে আমাদের সংসারে যে অভাব-অনটন ছিল তা আর এখন নাই। আমরা ভাইবোন সবাই মিলে কাজ করছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আগের থেকে অনেক ভালো আছি।’ কিন্তু, কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে কারখানা গড়ে ওঠাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসায় মন্দাভাব নেমে এসেছে বলে জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, আগের মতো ক্রেতা পাচ্ছেন না। তারপর আবার ভারতীয় পোশাক ঢুকে পড়ায় স্থানীয়রা মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি কেরানীগঞ্জের পোশাকের বাজার মৌসুম নির্ভর হওয়ায় বর্তমানে বেচা-বিক্রি কিছুটা কম। কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের গড় সিজন। আমরা আসলে সিজনাল ব্যবসা করি। সাধারণত রমজান মাস আসলে আমাদের মালটা সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যায়। আর গড় সিজনে আমরা মালটা তৈরি করে জমিয়ে রাখি। সিজন আসলেই মালটা বিক্রি হয়ে যাবে অতএব এখানে অস্থির হওয়ার কিছু দেখছি না।’ প্রায় তিন দশকের যাত্রায় কেরানীগঞ্জের পোশাক শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে এমন কথা তুলে ধরে এখানকার ক্ষুদ্র শিল্পের মালিকরা জানান দেশে শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরির পাশাপাশি রফতানি করা সম্ভব তাদের পোশাক।
×