ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিখোঁজের ৩২ দিন পর কুয়াকাটার ১০ জেলের সন্ধান মিলল মিয়ানমারে

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ৫ মার্চ ২০১৭

নিখোঁজের ৩২ দিন পর কুয়াকাটার ১০ জেলের সন্ধান মিলল মিয়ানমারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৪ মার্চ ॥ নিখোঁজের ৩২ দিন পর কুয়াকাটার ১০ জেলের মিয়ানমারে খোঁজ মিললেও এখন পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফিরতে পারেনিন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। আইনের জালে আটকা বাকি নয়জন এখন মিয়ানমারের জেলে আটক রয়েছেন। মুক্তির ব্যাপারে সঠিক কোন দিকনির্দেশনা না পেয়ে এসব জেলে পরিবারে এখন চলছে আহাজারি। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে স্বজনদের। উপার্জনক্ষম মানুষটি না থাকায় পরিবারের সদস্যদের চলছে মানবেতর জীবনযাপন। আটক জেলেরা বিভিন্ন উপায়ে মুঠোফোনে স্বজনদের কাছে তাদেরও কখনও অভুক্ত দিন কাটছে এমন খবর পাঠাচ্ছেন। জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারি মৎস্যবন্দর আলীপুর থেকে এফবি ফয়সাল ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে গভীর সাগরে যান লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা গ্রামের ট্রলার মাঝি আলী হোসেন গাজী (৩৫), জেলে কবির হাওলাদার (৩২), সোবাহান ঘরামী (৪৫), আলমগীর মাতুব্বর (৩৫), নজরুল গাজী (৩২), হাচান হাওলাদার (১৭) এবং মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের রুবেল (২৫), জাহিদুল (১৮), কাওছার মুসল্লী (২৬) ও শামীম (১৬)। এরপর থেকে সবাই নিখোঁজ থাকেন। এ ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে মহিপুর থানায় জিডি করা হয়েছে, যার নম্বর ১২৯। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের হেড অব বাংলাদেশ কনস্যুলেট (আকিয়াব) শাহ আলম খোকনের ফোন পেয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন জেলেদের আটকের তথ্য। তিনি পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছেন, ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে ভাসতে এসব জেলে মিয়ানমারে গিয়ে পৌঁছেন। রাখাইন প্রদেশের গোয়া শহরের ১৮ মাইল উত্তরের জি গোনি গ্রাম থেকে দুই নটিক্যাল মাইল দূরে সাগর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়া টাউনশিপ পুলিশ। এদের মধ্যে মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে কাওসার মারা যান। শাহ আলম খোকন জানান, মিয়ানমারের সাত মন্ত্রী এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জেলেদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেননি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এসব জেলের নামে মামলা করা হয়েছে।
×