ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দাপুটে জয়ে সিরিজ প্রোটিয়াদের

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৫ মার্চ ২০১৭

দাপুটে জয়ে সিরিজ প্রোটিয়াদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ৩-২এ সিরিজ জিতে নিল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের চার ম্যাচের তিনটিই ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু অঘোষিত ফাইনাল হয়ে ওঠা শেষ ওয়ানডেতে পাত্তাই পেল না স্বাগতিক কিউইরা। অকল্যান্ডে টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের দল ৪১.১ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট। জবাবে ৩২.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবি ডি ভিলিয়ার্সের নেতৃত্বাধীন প্রোটিয়া শিবির। এ নিয়ে টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পেসার কাগিসো রাবাদা। আর কিপটে বোলিংয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করেছেন লেগস্পিনার ইমরান তাহির (১০-২-১৪-২)। বুধবার ডুনেডিনে শুরু তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে হারের পর টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল নাম্বার ওয়ান দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে ধরে রাখল আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও। অন্যদিকে দেশের মাটিতে টানা আট সিরিজ পর হারল কিউইরা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই হেরেছিল তারা। আগের ম্যাচে অপরাজিত ১৮০ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের জেতানো মার্টিন গাপটিলকে এদিন মাত্র ৪ রানে পরিষ্কার বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রাবাদা। নতুন বলে দুর্দান্ত করেছেন এই পেসার। ক্রিস মরিস ও এ্যান্ডল ফিলুকওয়েয়ো দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। ফিল্ডিংও ছিল দুর্দান্ত। ফলÑ ৭২ রানেই নিউজিল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট। জিমি নিশাম (২৪) ও মিচেল স্যান্টনার (২৪) চেষ্টা করেছেন প্রতিরোধের। টিকতে পারেননি কেউ। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ৩২, তার আগে ডিন ব্রাউনলির ২৪ রানের দৃঢ়তায় মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় কিউইরা। শুরুতে মাঝে আর শেষেÑ তিনবার আঘাত রাবাদার। এছাড়া ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাহির। ওয়ানডেতে কোন প্রোটিয়া স্পিনারের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং এটিই। ছোট পুঁজি নিয়েই লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন কিউই বোলাররা। ৪৮ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিস (৯০ বলে অপরাজিত ৫১)। ২১ বলে ২৩ রানের কার্যকরী ইনিংস ডি ভিলিয়ার্সের। পরে ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ে জয় ত্বরান্বিত করেন ডেভিড মিলার। সিরিজ সেরার পুরস্কার থাকলে সেটি ডি ভিলিয়ার্সই পেতেন। ৮৭.৩৩ গড়ে ২৬২ রান করেছেন অতিথি অধিনায়ক, স্ট্রাইক রেট ১০৭.৮১। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ১৪৯/১০ (৪১.১ ওভার; গাপটিল ৪, ব্রাউনলি ২৪, উইলিয়ামসন ৯, টেইলর ৮, রনকি ৮, নিশাম ২৪, স্যান্টনার ২৪, ডি গ্রান্ডহোম ৩২, সাউদি ৬, প্যাটেল ০, বোল্ট ০*; রাবাদা ৩/২৫, মরিস ১/৩৪, তাহির ২/১৪, ফিলুরকওয়েয়ো ২/৩৫, প্রিটোরিয়াস ০/৩৬)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫০/৪ (৩২.২ ওভার; ডি কক ৬, আমলা ৮, ডুপ্লেসিস ৫১*, ডুমিনি ৩, ডি ভিলিয়ার্স ২৩, মিলার ৪৫*; প্যাটেল ২/২৬, বোল্ট ০/৪৪, সাউদি ০/৪০, ডি গ্রান্ডহোম ১/১৬, স্যান্টনার ০/৯, নিশাম ১/১০)। ফল ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রাবাদা (দ. আফ্রিকা)। সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ দ. আফ্রিকা ৩-২এ জয়ী।
×