ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় সড়কে বসে টু পাইস কামাই

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৫ মার্চ ২০১৭

বগুড়ায় সড়কে বসে টু পাইস কামাই

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার বাইপাস জাতীয় মহাসড়কের ধারে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী সাবইন্সপেক্টর (এএসআই) ও কনস্টেবল যানবাহন পরীক্ষাও করছে আবার ‘টু পাইস’ কামিয়ে নিয়ে ছেড়েও দিচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না ভারি যানবাহন থেকে মোটরসাইকেল পর্যন্ত। ওই এলাকার দোকানি ও লোকজন বলেন, মাঝে মধ্যেই তারা এভাবে বসে ‘নানাভাবে’ অর্থ আদায় করে। শনিবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে ওই মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবেদ আলী টেবিল নিয়ে বসে আছে। একজন কনস্টেবল ও পুলিশের কয়েক দালাল মোটরসাইকেল, কার, মিনিবাস, বাস, ট্রাক আটকে কাগজ চাইছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পাড়লে শুরু হয় দেনদরবার। এএসআই আবেদ আলীর কাছে দেখা যায় যানবাহনের কেস ফর্ম (কেস স্লিপ নামে অধিক পরিচিত)। নিয়মানুযায়ী যদি কোন যানবাহনের কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকে তাহলে ওই কেস ফর্মে না পাওয়া কাগজপত্র উল্লেখ করে জরিমানার অঙ্ক লিখে তার কপি যানবাহনের মালিককে দেয়া হয়। একজন সাবইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা তা লিখে সিল-স্বাক্ষর দেবেন, এটাই নিয়ম। এদিন সেখানে এসআই পদমর্যাদার কাউকে দেখা যায়নি। টেবিলে রক্ষিত যে কেস ফর্মের বই দেখা যায় সেখানে ফাঁকা ফর্মে ‘শাহ আলম টিএসআই’ সিল দেখা যায়। নিয়ম অনুযায়ী স্বাক্ষর ছাড়া কোন সিল থাকার কথা নয়। ব্লাঙ্ক ফরমে সিল দেয়া কোনভাবেই ঠিক নয়। কেন এভাবে সিল দেয়া তা জিজ্ঞাসা করা হলে এএসআই কোন উত্তর দেননি। তিনি তার এক কনস্টেবল ও এলাকার কয়েক দালালকে যানবাহন আটকে কাগজপত্র আনার নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে এক ফটোসাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে তার পরিচয় জানার পরও এএসআই আবেদ আলী তাকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় লোকজন তাকে নিবৃত্ত করেন। যে কনস্টেবল যানবাহন আটকে কাগজপত্র নিচ্ছিল তিনি দ্রুত তার নামের ব্যাজ খুলে সটকে পড়েন। এই ঘটনার সময় লোকজন ও দোকানিদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
×