ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ কামাল ফুটবল

শিরোপা জিতল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ৪ মার্চ ২০১৭

 শিরোপা জিতল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস

রুমেল খান ॥ আগেই সুনিশ্চিত ছিল, ফাইনালে যেই জিতবে সেই হবে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ’ ফুটবল টুর্নামেন্টের নতুন চ্যাম্পিয়ন। আর এই নতুন ক্লাবটি হলো মালদ্বীপের ট্রাস্ট এ্যান্ড কেয়ার (টিসি স্পোর্টস) স্পোর্টস ক্লাব। শুক্রবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে ৪-২ (২-২ ) গোলে হারায় দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন ফুটবল ক্লাবকে। ম্যাচের জয়ের নায়ক ছিলেন বিজয়ী দলের নেপালী গোলরক্ষক লিম্বু কিরণ কুমার। স্বীয় উদ্ভাসিত নৈপুণ্যের কিরণ ছড়িয়ে টাইব্রেকারে দু’দুটো শট ঠেকিয়ে হিরো বনে যান তিনি। এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই ও বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে পর্দা নামে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই আসরের। এবারই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয় পোচেয়ন। প্রথমবার এসেই ফাইনালে ওঠে তারা। কিন্তু ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে না পারায় হতাশার অনলে পোড়ে তারা। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলকে পুরস্কৃত করেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ারম্যান এম এ লতিফ এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, চট্টগ্রাম আবাহনীর সাধারণ সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সেক্রেটারি সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ। কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে তারা পায় ৩০ হাজার ডলার ও মেডেল। রানার্সআপ পোচেয়ন পায় ১০ হাজার ডলার এবং মেডেল। ম্যান অব দ্য ফাইনাল হন চ্যাম্পিয়ন দলের আবদুল্লাহিল আসাদ। আফগানিস্তানের শাহিন আসমায়ির আমিরুদ্দিন শরিফি পান সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। ফেয়ার প্লে ট্রফি পায় টিসি স্পোর্টস ক্লাবই। শেখ কামাল ফুটবলের প্রথম আসরে ২০১৫ সালের ফাইনালে ভারতের ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আবাহনী। শুক্রবারের ফাইনাল শুরুর সময় নিয়ে আগের দিন ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে সমালোচিত হয় আসরের আয়োজক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের তারা ই-মেইল করে জানায় পূর্ব নির্ধারিত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফাইনালের সময় এগিয়ে এনে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে করা হয়েছে। এখানেই ঘটনার শেষ নয়। ঘণ্টাখানেক পরেই আরেকটি ই-মেইল করে তারা জানায় ৫টা ১০ মিনিটে নয়, আগের সময় সাড়ে ৬টাতেই ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে। এ যেন এক মুরগি দু’বার জবাই করার মতো অবস্থা! লীগ হোক বা টুর্নামেন্ট, ফিক্সার পরিবর্তন করার বদভ্যাস ও ‘বিশ^ রেকর্ডটা এতদিন শুধু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেরই (বাফুফে) ছিল। এবার তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে শেখ কামাল ফুটবলের আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডও। এই আসর চলাকালেই এ নিয়ে মোট তিনদফা সূচী বদল করে সম্ভবত ‘বিশ^রেকর্ড’ গড়ে। প্রচারের অভাবে এবং আয়োজকদের দূরদর্শিতার অভাবে এই টুর্নামেন্ট দেখতে দর্শকরা সেভাবে মাঠে আসেননি। বলতে গেলে টুর্নামেন্ট ছিল ‘সুপার ফ্লপ’!
×