ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর বাজার

গ্রীষ্মকালীন সবজির কদর বেড়েছে ॥ গরু ও খাসির মাংসের দাম চড়া

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৪ মার্চ ২০১৭

 গ্রীষ্মকালীন সবজির কদর বেড়েছে ॥ গরু ও খাসির মাংসের দাম চড়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কাঁচা বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। নতুন করল্লা, ঢেঁড়স, পেঁপে, পটল, চিচিঙ্গা ও বরবটি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। দাম বেশি হলেও ভোক্তাদের কাছে কদর রয়েছে মৌসুমী এসব সবজির। তবে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে আসছে। নিত্যপণ্যের বাজারে গরু ও খাসির মাংস এখনও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। বাড়তির দিকে রয়েছে রসুনের দাম। ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি রসুুন। বাড়তে শুরু করেছে মাছের দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার এবং মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু ও খাসির মাংস আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তাদের যত অভিযোগ মাংসের এই দাম নিয়ে। স্বল্পআয়ের মানুষের ভরসা এখন ব্রয়লার মুরগি। এসব মুরগি দেড়শ’ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস পেতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৪৯০-৫২০ টাকা পর্যন্ত। খাসির মাংস কিনতে ৬৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয় ভোক্তাদের। বাড়তি এই দাম স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ কারণে গরু ও খাসির মাংস বিক্রিও কমে গেছে। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের গরুর মাংস বিক্রেতা লতিফ মিয়া জানালেন, দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে। ইতোপূর্বে ২টা গরু কাটলে (জবাই) দুপুরের আগেই প্রায় সব মাংস বিক্রি হয়ে যেত, আর এখন একটি কাটলেই বিক্রি হতে দিন পেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, মধ্যবিত্তরাই গরুর মাংসের প্রধান ক্রেতা। তারা এখন আর আগের মতো গরুর মাংস কিনছে না। এদিকে, বাজারে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে মাছের দাম। বার্মিজের স্বাদহীন ইলিশ একটু কম দামে পাওয়া গেলেও পদ্মার ইলিশের দেখা মিলছে না। দুচারটি যাও বা আসছে সেগুলোর দাম নাগালের বাইরে। কাওরান বাজারের মাছ ক্রেতা জসিম জানালেন, এ সপ্তাহে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দেশী জাতের মাছ রুই, কাতলা, শোল, টাকি ও চিংড়ির দাম সবচেয়ে বেশি। তবে পাওয়া যাচ্ছে বার্মিজ ইলিশ। তিনি বলেন, মাঝারি সাইজের এক জোড়া বার্মিজ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম চড়া। তবে শীতকালীন সবজি কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে সরু চাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৬, মাঝারি ৪২-৪৫ এবং মোটা চাল ৩৮-৪২ টাকায়। চিনি ৬৭-৭০, নেপালী মসুর ডাল ১৩৫-১৪০, সয়াবিন লুজ ৮৬-৮৮, পাঁচ লিটারের বোতল ৪৯০-৫২০ এবং এক লিটারের বোতল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×