ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগ নেই ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৪ মার্চ ২০১৭

নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগ নেই ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগ নেই। সংবিধানের বাইরে না গেলেও নিবন্ধন হারানোর ভয়ে বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসবে। শুক্রবার সকালে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির ব্যাপারে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এমন ঝুঁকি নিয়ে বোকার মতো নির্বাচনে বিএনপি না আসার সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার মনে হয় না।’ ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’ মর্মে সম্প্রতি দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সময় এবং স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তেমনি সংবিধান ও নির্বাচন কারোর জন্য অপেক্ষা করবে না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যেমন কারও জন্য থেমে থাকেনি। তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে তৃর্ণমূলে একটি ‘সার্কুলার’ গেছে। দলের মধ্যে কলহ-কোন্দল চলবে না। জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য কোন কাজ করা যাবে না। জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হয় এমন কোন কর্মকা-ে নেতাকর্মীরা লিপ্ত হতে পারবে না। দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, দলের নিম্নতম শাখার কেউ অপরাধী হলে সরাসরি বহিষ্কার করা যাবে না। কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে হবে, এ কারণে একে বহিষ্কার করা উচিত। সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটি এটা চূড়ান্ত করবে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে বিএনপির দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোন বিধান নেই। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের বিধান রয়েছে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার করার ব্যাপারে তো আমাদের কোন আপত্তি নেই। গতবারও নির্বাচনের সময় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার ছিল। পৃথিবীর সব উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ নির্বাচনের সময় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। ওই সময় শুধু সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। বাস্তবে তখন একটা হাত-পা বাঁধা সরকার ক্ষমতায় থাকবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে। সরকারের ইচ্ছায় তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে না।’ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আফজল খান এবং আ ক ম বাহারউদ্দিনের দ্বন্দ্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের দ্বন্দ্বটা কি কুমিল্লার চেয়ে তীব্র ছিল? তো, এটা আমরা মিটিয়ে ফেলেছি না? নির্বাচনের দিন একযোগে কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে আনেনি? নারায়ণগঞ্জে যেটা সম্ভব হয়েছে, কুমিল্লাতেও সেটা সম্ভব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেখানে লড়ব।’ সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আধুনিক একটা সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা নির্বাচনী লড়াইয়ের যাব। এ কারণে আমাদের যেসব সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর সম্মেলন করতে যাচ্ছি। এর প্রথমে শনিবার মহিলা আওয়ামী লীগের আর ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’ মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় হবে বলেও জানান তিনি।
×