ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৌরচালিত নতুন আলোক ফাঁদ উদ্ভাবন করেছে ব্রি

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৪ মার্চ ২০১৭

সৌরচালিত নতুন  আলোক ফাঁদ  উদ্ভাবন করেছে ব্রি

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ ফসলের মাঠে কীটপতঙ্গ শনাক্তকরণ, পর্যবেক্ষণ ও দমনের জন্য ব্যবহার উপযোগী সৌরশক্তিচালিত নতুন আলোক ফাঁদ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। আলোক ফাঁদ হচ্ছেÑ কীটপতঙ্গ শনাক্তকরণ, পর্যবেক্ষণ ও দমনের একটি বেশ জনপ্রিয় ও সহজ পদ্ধতি। কীটনাশক ব্যবহার না করে এটি পদ্ধতিতে শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন করা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিতে হ্যারিকেন, হ্যাজাক লাইট অথবা বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করে আলোক ফাঁদ তৈরি করা হয়। প্রচলিত পদ্ধতির আলোক ফাঁদগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যায় জ্বালিয়ে আবার সকালে বন্ধ করতে হয়। এতে কৃষকদের কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয়। এ অবস্থায় ব্রি’র এফএমপিএইচটি ও কীটতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে ফসলের মাঠে ব্যবহার উপযোগী সৌরশক্তিচালিত একটি নতুন আলোক ফাঁদ উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি মাঠে একবার স্থাপন করলে এটি আপনা থেকেই (স্বয়ংক্রিয়) সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে জ্বলে উঠে এবং সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে আবার নিভে। প্রযুক্তিটি ১টি সৌর প্যানেল, ১টি ব্যাটারি, ১টি কন্ট্রোলার, ১টি বৈদ্যুতিক বাতি এবং কেরোসিন মিশ্রিত পানির পাত্র ও ১টি স্ট্যান্ডের সমন্বয়ে তৈরি যার আনুমানিক মূল্য ১৫০০-২০০০ টাকা। এ যন্ত্রেও ব্যাটারি ও বৈদ্যুতিক বাল্বের জীবনকাল দুই বছর এবং সৌর প্যানেলের মেয়াদ বিশ বছর। প্রযুক্তিটি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা গেলে ফসলের মাঠে পোকা দমন করা সহজ হবে। যার ফলে এক দিকে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমবে এবং পরিবেশ থাকবে নির্মল। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। প্রযুক্তিটি ফসলের মাঠের পাশাপাশি ধান-মাছের মিশ্র চাষে ও পুকুরে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এই ফাঁদ পুকুরে ব্যবহার করলে ফাঁদে আকৃষ্ট পোকামাকড় মাছ সরাসরি সম্পূরক খাবার হিসেবে খেতে পারবে।
×