ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে সংঘর্ষ ॥ অর্ধশতাধিক বাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৪ মার্চ ২০১৭

ফরিদপুরে সংঘর্ষ ॥ অর্ধশতাধিক বাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩ মার্চ ॥ সালথা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দু’দলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। এতে উভয় দলের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের নগরকান্দা ও ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত গট্টি ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম ও রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গট্টি ইউপির সাবেক সদস্য রফিক মাতুব্বরের সমর্থক সলেমান কাজীকে প্রতিপক্ষ মোনায়েম কাজীর সমর্থকরা মারধর করে। এ নিয়ে গট্টি গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ সংঘর্ষ পার্শ্ববর্তী সিংহপ্রতাপ, নারাণপুর, ভাবুকদিয়া, বালিয়াগট্টি ও দরগাগট্টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তারা দেশী অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় উভয় দলের প্রায় ৪০টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ ও ভাংচুর। পুলিশ ৮৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চারটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় নুরু শেখ, কাজী মায়নদ্দিন, লাখু মুন্সী, আকরাম আলীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ গফ্ফার শেখ, মিন্টু খন্দকার, ইয়াছিন সর্দার, পান্নু মোল্যা, সোহরাফ খালাসী, মাধব ম-ল ও হেলাল মিয়াকে আটক করে। এ সময় ফরিদপুর-সালথা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া একই দিন সকালে রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সাহিদ মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ১০টি বসতঘর ভাংচুর করে। সংঘর্ষে সাহিদ মাতুব্বর, নাজিম, মহব্বত, আব্বাছ আলী, সুমন, আবু কাসেম ও লোকমানসহ ১২ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিরোজপুরে আহত ৪ নিজস্ব সংবাদদাতা পিরোজপুর থেকে জানান, মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় মিরুখালী বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে চার ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়। আহত মাসুম, মহিবুল্লাহ, শাহীন ও মিজানকে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলার পর খবর পেয়ে পুলিশ দেশী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার সময় রাকিব ভূঁইয়া ও জসিম সরদারকে হাতেনাতে দুটি রামদাসহ এবং শুক্রবার সকালে মাহবুবকে আটক করে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার এসআই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর পুলিশ রাকিব ও জসিমকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করে। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মিরুখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি লাভলু তালুকদার বাদী হয়ে দাউদখালী ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি বজলুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী তরুণ লীগ সভাপতি শাহিন শরীফসহ ১৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটককৃত মাহবুব এবং অস্ত্র মামলায় রাকিব ও জসিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
×