ধনবাড়ী সেচ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত ॥ দুদকে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৩ মার্চ ॥ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) টাঙ্গাইল জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুভাষ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে সেচ প্রকল্পের ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সেচ স্কিম ম্যানেজার দুদক টাঙ্গাইল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে কাজ না করায় ওই গভীর নলকূপ স্কিমে চলতি বোরো মৌসুমে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ স্কিমের আওতাধীন শতাধিক একর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকার বিএডিসির অচল নলকূপ সচলকরণের মাধ্যমে সুলভ সেচের ব্যবস্থা করেছেন। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিএডিসির এ প্রকল্পের অধীনে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে ১১২নং গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সুভাষ এন্টারপ্রাইজকে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ওই সেচ প্রকল্পে ঠিকাদার কোন কাজ না করলেও বিএডিসির টাঙ্গাইল জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল ইসলামের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ১১২নং গভীর নলকূপ স্কিমের ম্যানেজার এমদাদুল হক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ে প্রতিকার চেয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সরকারী অর্থ আত্মসাত বিষয়েÑ দুদক/সজেকা/টাঙ্গাইল/৭৬নং স্মারকে বিএডিসি টাঙ্গাইল জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি নিয়ে বিএডিসির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। অনুরোধ করেছি কৃষকদের এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য। এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমাদ জানান, ১১২নং গভীর নলকূপ স্কিমের বিদ্যমান সমস্য সমাধান না হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য বিএডিসিকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুভাষ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে অভিযুক্ত বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।