ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বায়ু দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৪ মার্চ ২০১৭

চট্টগ্রামে বায়ু দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়িসহ উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর দীর্ঘসূত্রতার কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বায়ু দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। বাতাসের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত ধুলাবালিতে একদিকে পথচারীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, অন্যদিকে ধুলাবালির সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশে থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সড়কে বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি। নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুরসহ অন্যান্য প্রধান সড়কে সাধারণ মানুষকে রাস্তা চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ধুলাবালির কারণে রাস্তার পাশের দোকানে বেচাকেনা কমেছে আর রাস্তার পাশে থাকা গাছগুলোও সবুজ থেকে ধূসর রং ধারণ করেছে। ধুলাবালির সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, সালফার ডাই অক্সাইডসহ নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশে যাওয়ায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। ইউএস টিসির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মাহবুব উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই সব কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখ বেশি হয়। টিবি তো হতেই পারে, অনেক সময় ক্যান্সার জাতীয় অসুখও হতে পারে।’ আর বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কত কিংবা সহনীয় মাত্রা কেমন হওয়া দরকার তার কোন তথ্য নেই সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে। যে কারণে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স প্রফেসর ড. আল আমিনের। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা জানব কি পরিমাণ আছে এই ধূলিকণার পরিমাণ তখনই আমরা বুঝতে পারব কিভাবে আমরা এটি নিয়ন্ত্রণ করব।’তবে ওয়াসা, সিডিএসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক সংস্থার সমন্বয়বিহীনভাবে কাজ করাকেই দুষলেন সিটি কর্পোরেশনের কয়েক কাউন্সিলর। সব উন্নয়নমূলক সংস্থা যদি পরিকল্পিতভাবে কাজ করে তবে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
×