ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শহরের শব্দ দূষণে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৪ মার্চ ২০১৭

শহরের শব্দ দূষণে  শ্রবণ শক্তি হ্রাস  পায়

শব্দ দূষণ ও শ্রবণ শক্তি হ্রাস ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। ৫০টি বড় শহরে চালানো এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। খবর এএফপির। গুয়াংঝু, নয়াদিল্লী, কাররো ও ইস্তানবুলের মতো উচ্চমাত্রার ডেসিবল (শব্দের তীব্রতার মান) এলাকাগুলো এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এসব এলাকায় শ্রবণ শক্তি সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। অনুরূপভাবে, জুরিখ, ভিয়েনা, অসলো ও মিউনিকের মতো শহরগুলো হচ্ছে সবচেয়ে কম শ্রবণ শক্তি হ্রাসের এলাকা। শব্দের উচ্চমাত্রার কারণে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ, বংশগত ক্রটি সকল জন্ম ও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। জার্মান কোম্পানি মিমি হিয়ারিং টেকনোলজিসয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনরিক ম্যাথিস বলেছেন, এটা এক পরিশ্রমী সমীক্ষা। সেল ফোনের মাধ্যমে পরিচালিত দুই লাখ মানুষের শ্রবণ শক্তি পরীক্ষা করে এ উপাত্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, শব্দ দূষণ ও শ্রবণ শক্তি হ্রাস-এ দুটোর মধ্যে খুব জটিল ও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বার্লিনের মিমি এ্যান্ড চ্যারিট ইউনিভার্সিটি হসপিটালের গবেষকরা দুটি পৃথক উপাত্ত তৈরির মাধ্যমে এ সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন। স্টক হোম, সিউল, আমস্টারডাম ও স্টাটগার্ট সবচেয়ে কম শ্রবণ শক্তি হ্রাস এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বলে উপাত্তে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, সাংহাই, হংকং ও বার্সিলোনা উচ্চ শব্দ দূষণ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যাধিক্য শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস হচ্ছে শব্দ দূষণের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম শহর। অতিমাত্রার শব্দ দূষণ প্রবণ এলাকারগুলোতে দেখা যায় বাসিন্দাদের কম বয়সেই শ্রবণ শক্তি হ্রাস পেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আরও ক্ষতি রোধ্যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি চিকিৎসা সামরিকী দ্য ল্যান্সেটে এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, শ্রবণ শক্তি হ্রাস এক নীরব ঘাতক। এ জন্য যথাযথ কোন ব্যবস্থা নাগালের মধ্যে নেই এবং তা নেই লাখ লাখ মানুষের জন্য।
×