ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৪ মার্চ ২০১৭

বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা  সংবিধান স্বীকৃত অধিকার

প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী বলেছেন, বৈধ সমালোচনা ও ভিন্নমত প্রকাশের জন্য অবশ্য সুযোগ থাকবে। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের রামযশ কলেজে সংঘটিত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বাক স্বাধীনতার ওপর চলমান বিতর্কের মধ্যে তিনি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। রাষ্ট্রপতি কেরালার কোচিতে ‘ইন্ডিয়াকে সেভেন্টি’ শীর্ষক ষষ্ঠ রাজামণি স্মারক বক্তৃতায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অসন্তোষের সংস্কৃতি প্রচার না করে তারা অবশ্য যুক্তিপূর্ণ আলোচনা ও বিতর্কে অবতীর্ণ হবেন। তিনি দৃঢ়তা ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জন্য বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান, স্বীকৃত অধিকার। তিনি বলেন, কোন অসহিষ্ণু ভারতীয়র জন্য কোন স্থান নেই ভারতে। রামযশ কলেজে সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন (এ আইএসএ) ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা সংঘটিত হয়। জওহর নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএলইউ) ছাত্র উমর খালেদ ও শেহলা রশিদকে রামযশ কলেজে আয়োজিত ‘কালচার অব প্রটেস্ট’-এর ওপর এক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানের আমন্ত্রণ জানানো হলে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এবিভিপির বিরোধিতার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেমিনার বাতিল করে। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বলেন, আমাদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমন মাধ্যমে যার মধ্য দিয়ে ভারত নিজেকে এক জ্ঞানের সমাজে চালিত করবে। তিনি বলেন, এ শেন পীঠগুলোতে অবশ্য সৃষ্টিশীলতা ও অবাধ চিন্তার বিস্তৃতি ঘটবে। রাষ্ট্রপতি আইন প্রণেতাদের সত্য না জেনে কিছু স্বীকার করে না নেয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই আইন প্রণয়নের মৌলিক দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ত বিষয়গুলো উত্থাপন করতে হবে। তিনি সমাজে নারীদের ওপর সহিংসতা সম্পর্কে বলেন, আমরা যখন নারীদের ওপর বর্বরতা চালাই তখন আমাদের সভ্যতাকে বিপর্যস্ত করে তুলি। তিনি বলেন, জাতীয় লক্ষ্য ও স্বদেশ প্রেমের ধারণাই কেবল একটি জাতিকে টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম। রামযশ কলেজে ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত সেমিনারে বিতর্কিত জেএলইউ ছাত্রদের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবিভিপির চাপে সেমিনার বাতিল করে দিলে ওই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। লেডি শ্রী রাম কলেজের ছাত্রী গুরমেহর কার্ড ঘটনার এবিভিপির বিরুদ্ধে সামাজিক মিডিয়ায় প্রচার চালানো শুরু করলে তাকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়। তিনি মঙ্গলবার পাঞ্জাবের উদ্দেশে দিল্লী ত্যাগ করেন। তিনি বলেন, তিনি মিডিয়া অভিযান থেকে দূরে সরে গেলেন। তার কলেজশিক্ষক, সহপাঠী ও পরিবার তার পক্ষে দাঁড়ালেও তিনি বুধবার জলন্ধরে মিডিয়ার সঙ্গে কোন কথা বলেননি। তার নিরাপত্তার জন্য পাঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দুই নারী কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে।
×