ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইসিকে জনগণের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নিতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ৩ মার্চ ২০১৭

ইসিকে জনগণের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করা, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা এবং স্বাধীন সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে তারা বলেন, ইভিএম নিয়ে ধীরগতিতে অগ্রসর হওয়া দরকার। যাদের ওপর ইভিএম মেশিনের দায়িত্ব দেয়া হবে তাদের ওপর আস্থা থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুজনÑসুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিতে আলাদা নির্বাচনী ক্যাডার থাকা দরকার। নির্বাচন কমিশন বলতে শুধু পাঁচজনকে বোঝায় না। বর্তমান কমিশনের সর্বমোট ৪ হাজার কর্মকর্তা রয়েছেন। সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ মচিব আলী ইমাম মজুমদার, বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর হিরু এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মইনুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান কমিশনের প্রধান কাজ হবে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরানো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা ও কমিশনারদের যোগ্যতা থাকা দরকার। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নবগঠিত নূরুল হুদা কমিশন বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সফলতা অর্জন করতে হলে তাদের এগুলো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
×