ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ের সুরে বিরাজ করছে প্রাণবন্ত আমেজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ মার্চ ২০১৭

বিদায়ের সুরে বিরাজ করছে প্রাণবন্ত আমেজ

সালাম মশরুর, সিলেট অফিস ॥ বহুমাত্রিক শিল্পের আলিঙ্গনে বৈভবময় রূপে ধরা দিয়েছে বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব। মানবিক সাধনার আহ্বানে অনুষ্ঠিত দশ দিনের এ উৎসবে এখন বাজছে বিদায়ের সুর। সিলেটবাসীকে আলোড়িত করা এ উৎসব শেষ হবে আজ শুক্রবার। বিপুলা আয়োজনের ক্রান্তিলগ্নে ক্রমশই যেন বাড়ছে মানুষের ভিড়। সন্ধ্যা নামতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে উৎসব। দলবেঁধে উপভোগ করছে নৃত্য-গীতের অনবদ্য পরিবেশনা কিংবা কারুমেলা। কেউ বা সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিচ্ছে আনন্দময় সময়। খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীদের সৃজিত চিত্রকর্ম দেখার লোভে শিল্পানুরাগীরা হাজির হচ্ছেন সুবীর চৌধুরী আর্ট ক্যাম্পে। নিবিষ্ট পাঠকরা ভিড় জমাচ্ছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল পাবলিকেশন্স ও প্রথমার স্টলে। নান্দনিক আয়োজনে অনেকেই আবার জটলা বেঁধে আড্ডায় মশগুল। সব মিলিয়ে বিরাজ করছে প্রাণবন্ত উৎসবের আমেজ। নানা অনুষঙ্গের সম্মিলনে বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ভাটি-বাংলার বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম চত্বর। এ চত্বরে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪০টি বাদ্যযন্ত্র। আধুনিক যুগের এই সময়ে অনেক বাদ্যযন্ত্র বিলুপ্তপ্রায়। এসব বাদ্যযন্ত্রের নাম, বর্ণনা, উৎপত্তিকাল, ব্যবহার সবই লেখা আছে বাদ্যযন্ত্রের পাশে। বয়সে যারা প্রবীণ, তাদের অনেকেই এসব বাদ্যযন্ত্রের সাথে একটু-আধটু পরিচিত থাকলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এগুলো বলতে গেলে প্রায় অপিরিচিত। আর তাই এসব বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ছবি বা সেলফি তুলে রাখতে ভুল করছেন না তারা। ভিড় করে মনোযোগ সহকারে এগুলোর বৃত্তান্ত উদ্ধার করছেন বোদ্ধা দর্শকরা। শিশুদের অনেকেই বাদ্যযন্ত্রের ছবির পাশে গিয়ে মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করছে, ‘মা, এটা কি ?, বাবা এটা কি ?’ প্রদর্শনীতে থাকা বাদ্যযন্ত্রগুলো হলো হারমোনিয়াম, এ্যাকর্ডিয়ান, ব্যাঞ্জোলিন বা ইন্ডিয়ান ব্যাঞ্জো বা বুলবুল তরঙ্গ, এস্রাজ, বেহালা, সারঙ্গী, বাঁয়া, তবলা, ফ্লুট, মোহন বাঁশি, মুরলী বাঁশি, আড়বাঁশি, তুবড়ী বা বীণ, বেণু, রোবানা, স্বরাজ, সুর সংগ্রহ, চিকরো, ট্রম্পেট, স্বরনাই, কর্নেট বিউগল, সানাই, সারিন্দা, দোতারা, একতারা, গোপীযন্ত্র, ব্যানা আনন্দলহরি বা খমক বা গুবগুবি, তমুরা বা তানপুরা, স্বরম-ল, সরোদ, পাখোয়াজ, করতাল, মন্দিরা, ঝাঁঝ, করতাল, কাঁসর বা কাঁসি, মেকুড়, খঞ্জনি, ডমরু বা ডুগডুগি, ঘুংগুর, প্রেমজুড়ি, হাত-বাঁয়া, চিত্তকটোলা, ঢাক (ডঙ্গা) ও সেতার। এইসব বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টির হতিহাস ও ব্যবহারবিধি। মাঠে কথা হয় কলেজ শিক্ষার্থী রায়হানের সাথে। তিনি বলেন, এখানে প্রদর্শিত অনেক বাদ্যযন্ত্রের নাম আমরা জানতাম না, কখনও শুনিই নি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের নাম জানতে পারলাম, এসব যন্ত্রের সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আমাদের সংস্কৃতিকে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রকম উৎসব প্রতিবছর সিলেটে হলে খুব ভাল হয়। সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ একটা চর্চার মধ্যে থাকতে পারবেন। স্ত্রী শামা হককে সাথে নিয়ে উৎসবে আসেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি অসাধারণ একটি আয়োজন। এমন উৎসব সিলেটে আগে কখনও হয়নি। আমরা যে কতটা পিছিয়ে আছি তা এই সাংস্কৃতিক উৎসবে এলে বোঝা যায়। এই উৎসব থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি বলেন, বেঙ্গল চেয়ারম্যানের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তবে এমন আয়োজন প্রতিবছর সিলেটে হওয়া উচিত। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিও প্রতিবছর এমন উৎসব আয়োজনের আহ্বান জানাই। দশ দিনব্যাপী সিলেটের বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের নবম দিনে বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। দিনের বিকেলটি রাঙিয়ে তোলে শিশুরা। উৎসবের হাছন রাজা মঞ্চে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ছোটদের গীতিনাট্য শিশুতীর্থে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিলেট অঞ্চলের বিয়ে, হলুদের বিভিন্ন ধরনের নাচ ও গান। একে একে ৮টি গীতিনাট্য পরিবেশন করা হয়। সোহাগ চাঁদ বদনী ধনি, আইলারে নয়া দামান, জলের ঘাটে দেইখা আইলাম কি সুন্দরো শ্যাম রাই, লীলাবালি লীলাবালি, আইলারে নয়া দামান আছমানেরো তারা, যাইতা কইন্যা শ্বশুরবাড়িÑ গান পরিবেশন করা হয়। গানের মাঝখানে ছিল ঘটকের হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা। এর পর শুরু হয় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ (সিলেট) দলীয় পরিবেশনা চতুরঙ্গ। পাশাপাশি সৈয়দ মুজতবা আলী মঞ্চে বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র ‘রিনা ব্রাউন।’ শামীম আখতার পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি ‘রিনা ব্রাউন’। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রশংসিত চলচ্চিত্র সপ্তপদীর নায়িকা রিনা ব্রাউনের নাম থেকে এই ছবির নামকরণ করেছেন পরিচালক। মূলত এটা একটি লাভ স্টোরি, ভারত উপমহাদেশের প্রাক-স্বাধীনতার আমলে (১৯৪০-এর দিকের কাহিনী), যখন তরুণ ভারতীয় ছাত্ররা ব্রিটিশদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়লাভ করছে। এটা সেই সময়ের কাহিনী যখন বাংলার দামাল ছেলেরা ফুটবল মাঠে হারিয়ে দিচ্ছিল স্যুটেড-বুটেড ব্রিটিশদের এবং জিতে নিয়েছিল ‘জাতীয় ফুটবল শিল্ড’, যখন বাঙালী ছেলেরা ব্রিটিশদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পড়া শুরু করেছিল মেডিক্যাল কিংবা আইন। ১৯৪২ সালে গান্ধীজীর স্বদেশী আন্দোলেনের সময়কাল এ গল্পের পটভূমি। কৃষ্ণেন্দুর অসাধারণ ‘ওথেলো’ আবৃত্তি আর স্বচ্ছন্দ অভিনয় দেখে আকৃষ্ট হয় রিনা। কাছে আসে তারা, ভালবাসে একে অপরকে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে রিনার বাবা শর্ত জুড়ে দেয় যে কৃষ্ণেন্দুকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে, ক্রিশ্চিয়ান হতে হবে। রিনাকে পাওয়ার জন্য কৃষ্ণেন্দু তাতেই রাজি হয় এবং ধর্ম বদলায়। কিন্তু কালী বিশ্বাসী, ধর্ম অনুরাগী কৃষ্ণেন্দুর পিতা রিনার কাছে হাতজোড় করে কৃষ্ণেন্দুকে ফিরিয়ে দিতে বলেন। রিনা তাই করেন। কৃষ্ণেন্দু ভারাক্রান্ত মনে ফিরে যায় এবং মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে। বহু বছর পর রিনার সাথে তার দেখা হয় মিলিটারি হাসপাতালে, যখন রিনা মদ্যপায়ী এবং উচ্ছৃঙ্খল এক তরুণী, যে হারিয়ে ফেলেছে ঈশ্বরের প্রতি সমস্ত বিশ্বাস। অপরদিকে নাস্তিক কৃষ্ণেন্দু ঈশ্বরের মাঝে খুঁজে পেয়েছে সত্যিকারের প্রশান্ত নীড়। সিনেমার শেষে দেখা যায়, কৃষ্ণেন্দুর বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারে, বুঝতে পারে ধর্মের চাইতে মানুষ বড়। পুরো সিনেমা আবর্তিত হয়েছে কৃষ্ণেন্দুর স্মৃতি রোমন্থনে, ফ্ল্যাশব্যাকে। এরপর লোক নাট্যদলের পরিবেশনায় মঞ্চ নাটক ‘কঞ্জুস’ এর প্রদর্শনী। নাটকটির প্রদর্শনী সম্পর্কে আয়োজকরা বলেন, কঞ্জুস নাটক প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৮৬ সালের ৮ মে। এই দীর্ঘ সময়ে নাটকটির পোশাক ও আলোক পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নাটকটির গল্পের মাধ্যমে একজন কৃপণ ব্যক্তির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরপর নজরুলসঙ্গীত পরিবেশন করেন রাকিবা হাসান ঐশী। ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতাদের মন মাতিয়ে তোলেন শফিউল আলম রাজা। নজরুলের গান শুনিয়ে অন্তরে প্রশান্তি ছড়িয়েছেন ফেরদৌস আরা। আধুনিক গানের সুরে শ্রোতাদের রাঙিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হৈমন্তী শুকলা। সব শেষে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন পার্বতী বাউল। আজকের আয়োজন ॥ আজ শুক্রবার বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের শেষ দিন। আজকের আয়োজনে রয়েছে বিকেল চারটায় সৈয়দ মুজতবা আলী মঞ্চে ‘ঘাসফুল’ ছবির প্রদর্শনী। পরে একই মঞ্চে সোয়া সাতটায় পরিবেশন করা হবে সুবচন নাট্যদলের আলোচিত মঞ্চনাটক ‘মহাজনের নাও’। এছাড়া সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে ‘হাছন রাজা মঞ্চে’ শিশুদের গান ও নানা বিনোদনের পরিবশনা নিয়ে আসবে ‘গীতবিতান বাংলাদেশ’। নজরুলসঙ্গীত পরিবেশন করবেন অনিন্দিতা চৌধুরী এবং সেতারে সুর ছড়াবে বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সব শেষে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন শাফি ম-ল। ১৯ শিল্পীর ছাপচিত্র কর্মশালা ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট ॥ সাদা আর্ট পেপারে কালো রঙের আশ্রয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে বিচিত্র বিষয়। সেসব ছবিতে আছে প্রকৃতি ও জীবনের কথা কিংবা শিল্পীর মনোলোকে আলোড়িত কোন বিষয়। আর এভাবেই সাদা-কালো উপজীব্য করে তরুণ চিত্রকররা সৃজন করেছে অসংখ্য ছাপচিত্র। দৃশ্যমান মাত্র দুই রঙের সেসব চিত্রকর্মে যেন উপলব্ধির মাধ্যমে ধরা দিয়েছে বহুবিধ বর্ণ। মাটির রং, গাছের পাতার রং অথবা নীল আকাশÑসব কিছুই কল্পনার ডানা মেলে উঠে এসেছে চিত্রপটে। সেই সুবাদে বর্ণিলতা পেয়েছে ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট নামের ছাপচিত্র কর্মশালাটি। ‘কালো ও সাদা’ শিরোনামে এই ছাপচিত্রের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগে। গ্যালারি কায়া ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাপচিত্র বিভাগ আয়োজিত এ কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রখ্যাত ছাপচিত্র শিল্পী রতন মজুমদার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সুমন সূত্রধর বললেন, রতন মজুমদারের মতো শিল্পীর পরিচালনায় কর্মশালা করার সুযোগ পেয়েছি,এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ ও প্রাপ্তি। উডকাট নিয়ে নানা মাত্রায় কাজ করার সুযোগ পেলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এই কর্মশালায়। পাঁচ দিনের কর্মশালায় শেষ ২ মার্চ বৃহস্পতিবার। এতে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ চারু শিক্ষার্থী শিল্পী এবং ৩ চারু শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকেলে কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয় সনদপত্র। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী রণজিৎ দাস। স্বাগত বক্তব্য দেন গ্যালারি কায়ার পরিচালক গৌতম চক্রবর্তী এবং ঢাবি চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিল্পী আনিসুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী রতন মজুমদার। শিল্পী নিসার হোসেন বলেন, এ কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপচিত্র নিয়ে কাজ করা শিল্পীদের কাজ সম্পর্কেও আমরা জানতে পারলাম। এ কর্মশালায় শিল্পীরা পরিশ্রম করেছে। সে কারণে তাদের কাজগুলোও ভাল হয়েছে। গৌতম চক্রবর্তী বলেন, সবাই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে এ কর্মশালার আয়োজন। রতন মজুমদার দেশের স্বনামধন্য শিল্পী। তার সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরা নিজেদের কাজের মান আরও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে এ কর্মশালায়। আমাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য সেটাইÑশিক্ষার্থীদের কাজের মান বাড়ানো। আনিসুজ্জামান বলেন, সাদা-কালোতে রতন মজুমদারের মতো ভাল শিল্পী এখন আর কেউ নেই। তার সঙ্গে হাতেকলমে কাজ করার সুযোগ যে কোন শিক্ষার্থীর খুব বড় পাওয়া। এ কর্মশালায় তরুণ শিল্পীরা সে সুযোগ পেল। কর্মশালায় চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগ এবং ত্রিশালের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাপচিত্র বিভাগের দুজন করে চারু শিক্ষার্থী অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আট শিক্ষার্থীর সঙ্গে অংশ নিয়েছেন ৩ শিক্ষক। শিক্ষকরা হলেন অস্মিতা আলম শাম্মী, জয়া শাহরীন হক ও নাজির হোসেন খান।
×