ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ ট্রেডের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে

এক বছরে ৬৮ কারাগারে আড়াই হাজার বন্দীকে প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩ মার্চ ২০১৭

এক বছরে ৬৮ কারাগারে আড়াই হাজার বন্দীকে প্রশিক্ষণ

মশিউর রহমান খান ॥ দেশের ৬৮ কারাগারে গত এক বছরে ২ হাজার ৬শ’ ১৯ কারাবন্দীকে আত্ম কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে কারা বিভাগ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী ২৮ ট্রেডের মাধ্যমে এসব বন্দীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও দেশী-বিদেশী সংস্থা, সরকারী বিভিন্ন দফতর থেকে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অনেক বন্দীই কারামুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা বিষয়ে সমাজে স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করছে। জেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, কোন কোন বন্দী স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে মানুষের মতো বসবাস করছেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কারাবন্দী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে ঢাকা বিভাগের আর সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন সিলেট বিভাগের কারাগারে। কারাভ্যন্তরে আটক যে কোন বন্দী তার ইচ্ছেমতো যে কোন ট্রেড গ্রহণ করতে পারেন। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের কর্মদক্ষতা বা প্রয়োজন বুঝে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীর সঠিক পেশার প্রশিক্ষণ প্রদান করতে তাদের উৎসাহিত করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কারা কর্তৃপক্ষ বছরব্যাপী আত্মকর্ম সংস্থানমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থেকে। সারাদেশের সকল কারাগারের নির্দিষ্ট স্থানে একটি করে ওয়ার্কশেড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বন্দীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া দেশের ১৩ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ২জন প্রশিক্ষক নিযুক্ত রয়েছেন। পদ দুটি হচ্ছে টাস্ক টেকার ও ফ্যাক্টরি ওভার শেয়ার। এছাড়া বন্দীর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর ভেতরে বন্দী প্রশিক্ষণ পুনর্বাসন স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এ কারাগারটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বন্দীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। বন্দীজীবন শেষে তারা যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেজন্য দেশের সকল কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশপাশি বৃহত সকল কারাগারেই বন্দীর প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কারা অধিদফতর ‘বন্দীদের সংশোধন সমাজে পুনর্বাসন’ সেøাগানে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ৬৮ কারাগারে একযোগে শুরু করে কারা সপ্তাহ ২০১৬। ৪ মার্চ পর্যন্ত চলমান এ সপ্তাহের মূল সেøাগানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের সকল কারাগারেই এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান আরও বেগবান করা হবে বলে জানা গেছে। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দীদের ওপর পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী কারা অধিদফতর এ তথ্য প্রদান করেছে। বন্দীরা কারাভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও তবে মুক্তি পাওয়ার সামাজিক অবস্থান থেকে তেমন সাড়া না পাওয়ায় কোন কোন বন্দী এসব প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারছেন না। এ জন্য কোন প্রকার সরকারী বা বেসরকারী ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় আর্থিকভাবে দুর্বল কারাবন্দীরা প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট পেশা গ্রহণে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এছাড়া কারাগার থেকে মুক্তির পর তারা কর্মক্ষেত্রে কতটুকু সফলতার সঙ্গে কাজ করতে পারছে, সে বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা অধিদফতরের তথ্যমতে, কারাগারের মোট ২৮ ট্রেডে বন্দীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। ট্রেডগুলো হচ্ছে, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউসওয়্যারিং, মেনজ এ্যান্ড জেন্টস পার্লার, ড্রেস মেকিং এ্যান্ড টেলারিং, সেলাই প্রশিক্ষণ, মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ, নরসুন্দর প্রশিক্ষণ, ব্লক, বাটিক ও বুটিক, কারচুপি, হর্টিকালচার এন্ড নার্সারি ডেভেলপমেন্ট, টাইলস ফিটিং, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড অডিও ভিজুয়াল রিপেয়ার, ওয়েল্ডিং, মাশরুম কাল্টিভেশন, চামড়াজাত হস্তশিল্প, বিউটিফিকেশন, প্লাম্বিং এ্যান্ড পাইপ ফিটিংস, কেঁচো সার, সিভিল পেন্টিং, পারটেক্স ফার্নিচার, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, সেলফোন সার্ভিসিং, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ব্যাগ তৈরি, ভূমিকম্পকালীন দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রাথমিক চিকিৎসা, মৌ চাষ, রেফ্রিজারেশন, দর্জি প্রশিক্ষণ এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন ও পশু মোটাতাজাকরণ। এদের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ কিছু ট্রেডে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া বাকি ট্রেডগুলোতে যুব উন্নয়ন অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আরডিআরএস, মুসলিম এইড, ঢাকা আহসানিয়া মিশনসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রদান করে থাকে। কারা সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশের কারাগারে থাকা প্রায় ৭৭ হাজার বন্দীর মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়েছে ২ হাজার ৬শ’ ১৯। এর মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগের ৮২৯ বন্দী কারাগারে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চসংখ্যক সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী নিয়েছে ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড হাউজওয়্যারিং প্রশিক্ষণ। বন্দ প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রংপুর বিভাগ। এ বিভাগের ৪শ’ ৮২ জন বন্দী কারাগারেই নানা ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। নিয়েছে। রংপুর বিভাগের সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্দি নিয়েছে দর্জি প্রশিক্ষণ। বন্দি কারিগরি প্রশিক্ষণের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগের ৩শ’ ৩৯ বন্দী কারা অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। রাজশাহী বিভাগের বন্দীদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী ব্লক, বাটিক ও বুটিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী মেনজ এন্ড জেন্টস পার্লারে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বন্দীদের প্রশিক্ষণে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগের ৩শ’ ৩১ বন্দী কারা অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্দী সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে দর্জি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী প্রশিক্ষণ নিয়েছে মেনজ এন্ড জেন্টস পার্লারে। বন্দ কারিগরি প্রশিক্ষণে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগের ২শ’ ৭৪ জন বন্দী কারা অভ্যন্তরেই কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী প্রশিক্ষণ নিয়েছে সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে দর্জি প্রশিক্ষণ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মাশরুম কালটিভেশন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বন্দীদের কারিগরি প্রশিক্ষণে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ বিভাগের ২শ’ ৫৪ জন বন্দী কারা অভ্যন্তরেই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্দী সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এ বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী নিয়েছে কারচুপি প্রশিক্ষণ। বন্দী কারিগরি প্রশিক্ষণে সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সিলেট বিভাগ। এ বিভাগের ১১০ জন বন্দী কারা অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী যুব উন্নয়ন অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে বন্দীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও কারা কর্তৃপক্ষ ও বন্দীদের রয়েছে নানা সমস্যা। বন্দীরা দীর্ঘদিন বন্দী থাকলেও কেবল এসব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এর সুফল পেতে পারেন। এমন অনেক বন্দী রয়েছেন যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাঝপথেই আদালত কর্তৃক জামিন পেয়ে বাইরে চলে যায় ফলে এর কোন সুফলই তারা ভোগ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রশিক্ষক স্বল্পতার কারণেও অনেক পুরাতন ট্রেড সঠিকভাবে পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রশিক্ষণের জন্য লোকবল নিয়োগ করা হলেও জেলা কারাগারেই পুরনো বন্দীর উপর ভরসা করেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া বন্দী যদি প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর কারামুক্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে ঋণ সহায়তার নিশ্চয়তা পান তবেই আরও অধিকসংখ্যক বন্দী এসব আত্মকর্ম সংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সমাাজে স্বাবলম্বী হতে পারতেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, বন্দীরা কারামুক্ত হয়ে সমাজে পূর্বের ন্যায় যাতে অপরাধে জড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেন এবং আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টি করতেই আমরা বিভিন্ন ট্রেডে কারাবন্দীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি। গত বছর আমরা আড়াই হাজারের বেশি বন্দীকে ২৮ ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এর মধ্যে অসংখ্য বন্দী এসব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সমাজে স্বাবলম্বী হয়েছে। আগে বন্দীদের পুরনো বেশ কিছু ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করলেও বর্তমানে আধুনিক ও যুগোপযোগী ট্রেড নির্বাচন করা হয়েছে। এর ফলে বন্দীরা কারাভ্যন্তরে অলস সময় না কাটিয়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সমাজের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যাচ্ছে। মূলত পূর্বের অপরাধ থেকে বিমুখ হতে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরভাবে চলতে পারেন সেজন্য এসব প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। কারাগার সৃষ্টির শুরু থেকেই এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, কারাগারে বন্দীরা সাজা শেষে আমাদের সমাজেই ফিরে যান। তারা সামাজিক জীবনে ফিরে গিয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবনে নিজেকে নিয়োগ করতে পারেন সেজন্য ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা কারাগারের বন্দীদের আমরা প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি। এর বাইরে বন্দীর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ তে বন্দীদের জন্য প্রশিক্ষণ পুনর্বাসন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ স্কুলে যেসব বন্দী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে আমরা তাদের সরকারী বেসরকারী কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সনদ প্রদান করছি। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বন্দীদের মাধ্যমেই নতুন বন্দীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তবে এসব বন্দীকে কারামুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ-পরবর্তী তাদের পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে, কিছু লোকবল বৃদ্ধি করা হলে আমরা নিয়মিত মুক্তি পাওয়া বন্দীদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী জীবন ফলোআপ করব। সরকার কতৃক এসব প্রশিক্ষিত বন্দীদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে এসব প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারেন। অন্যথায় সমাজে পূনরায় তারা বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টিতে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন। যার সরাসরি প্রভাব আমাদের উপরই পড়বে। এজন্য তিনি প্রশিক্ষিত মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের কর্ম সংস্থানে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন।
×