ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশবান্ধব গণশৌচাগার

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩ মার্চ ২০১৭

পরিবেশবান্ধব গণশৌচাগার

ভালবাসার শহর প্যারিসের বাসিন্দারা অনেকদিন ধরেই ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ পাচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে অভিনব এক উপায় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্যারিসের ফুটপাথ আর রেলস্টেশনের আশপাশ দিয়ে চলাচলকারীদের অনেকদিন ধরেই প্রস্রাবের দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কার রাখতে শহর কর্তৃপক্ষের নানান উদ্যোগ থাকলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই পরিস্থিতির জন্য মাতালরাই অন্যতম দায়ী। প্যারিসজুড়ে এমন প্রায় সাড়ে চার শ’ শৌচাগার আছে। এগুলো ‘স্যানিসেৎ’ নামে পরিচিত। একজনের ব্যবহারের পর এই শৌচাগার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়। শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়, তাতে একদিকে যেমন পানির অপচয় হয়, তেমনি এই কাজে যে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়, তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। প্যারিসের এক রেলস্টেশনে ‘উরিত্রতোয়া’ নামে দুটি পরিবেশবান্ধব গণশৌচাগার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ওপরের ছবিটি ভাল করে খেয়াল করে দেখুন লাল অংশে প্রস্রাব করার জন্য একটি জায়গা আছে। আর খড় রাখা যে বাক্সটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটি আসলে লাল অংশটির নিচে থাকে। অর্থাৎ প্রস্রাব গিয়ে ওই খড়ের বাক্সে পড়ে। বাক্সে থাকা খড় প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে কম্পোস্ট তৈরি হয়। এই কম্পোস্ট দিয়েই উরিত্রতোয়ায় গাছের চাষ করা যাবে। এছাড়া পার্ক কিংবা বাগানেও ব্যবহার করা যাবে। খড়ের আরেকটি সুবিধা আছে। এতে উচ্চমাত্রার কার্বন থাকায় দুর্গন্ধ অনেক কম হয়। দুই আকারের উরিত্রতোয়া রয়েছে। বড়টিতে প্রায় ৬০০ জন মূত্রত্যাগ করতে পারবেন। একেকজনের ক্ষেত্রে সাড়ে চারশ মিলিলিটার ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। আর ছোটটি তিনশ’ জনের মূত্র ধারণে সক্ষম। একেকটি উরিত্রতোয়ার দাম পড়বে প্রায় তিন হাজার ইউরো। শৌচাগার প্রস্রাবে ভরে গেলে উরিত্রতোয়াতে থাকা ইলেক্ট্রনিক মনিটরিং সেন্সর সবচেয়ে কাছে থাকা একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সঙ্কেত পাঠাবে। এতে করে জ্বালানি খরচ করে শৌচাগার পূর্ণ হলো কিনা, তা দেখতে যেতে হবে না। অর্থাৎ এইদিক থেকেও উরিত্রতোয়া পরিবেশবান্ধব। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
×