ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩ মার্চ ২০১৭

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে রেল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী রফিকুল আলম আর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক রাওয়াই ইসি। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, জাইকার প্রধান তাকাতোশি নিশিকাতা, ফার্স্ট সেক্রেটারি তোশিয়োকি নোগুচি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যমুনায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে পৃথক বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ করবে সরকার। এর অংশ হিসেবে প্রকল্পের ডিটেল্ড ডিজাইন, দরপত্র সেবা ও সুপারভিশনে পরামর্শক হিসেবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড এবং সহযোগী আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে। যৌথভাবে এই কোম্পানির সঙ্গে কাজ করবে জাপানের চোদাই কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্ট লিমিটেড। তাদের সহযোগিতা করবে এসিই কনসালটেন্স লিমিটেড। পরামর্শে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হালনাগাদকরণ, এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণ, ডিটেল্ড ইনভেস্টিগেশন ও সার্ভে পরিচালনা করে ডিটেল ডিজাইন, ড্রইং, প্রাক্কলন ও দরপত্র দলিল প্রণয়ন, দরপত্র প্রক্রিয়া ও মূল্যায়নে সহায়তা এবং নির্মাণ কাজ সুপারভিশনে সেবা প্রদান করা। এই সেতুর পরামর্শক নিয়োগে এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় ৭৪৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একনেক সভায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইনের কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। ২০১৮ সালে যাতে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালাতে পারি এ লক্ষ্যে কাজ করছি। এছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যেই পদ্মায় রেল সেতু তৈরির জন্য আমরা রোল এ্যাগ্রিমেন্ট করব। এর পর অতি দ্রুত পদ্মায় রেল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করব। তিনি বলেন, এ সরকারের নেয়া সকল প্রকল্পই এ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনই শেষ করা হবে। এর পর রেলের দৃশ্যত উন্নয়নের সুফল নাগরিকরা ভোগ করবেন। মন্ত্রী বলেন, রেলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার উদাহরণ। খালেদা জিয়া রেললাইনকে ধ্বংস করতে সকল স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাই সেসব বন্ধ স্টেশন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। রেলসেবা বাড়াতে আমরা শীঘ্রই বন্ধ হওয়া ৬০ রেলস্টেশন চালু করব। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রী সেবা বৃদ্ধি করেন আর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা তা ধ্বংস করেন। রেলের উন্নয়নে মুজিবুল হক সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
×