ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৬০ লাখ মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান ॥ পোল্ট্রি বিপ্লব

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩ মার্চ ২০১৭

৬০ লাখ মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান ॥ পোল্ট্রি বিপ্লব

এমদাদুল হক তুহিন ॥ কয়েক দশক ধরে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে নীরব বিপ্লব ঘটছে। বর্তমানে ২৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত থাকলেও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ৬০ লাখ মানুষের। তথ্য মতে, গার্মেন্টসের পরেই ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে পোল্ট্রি শিল্প ঘিরে। আশির দশকে এ খাতে বিনিয়োগ মাত্র ১৫শ’ কোটি টাকা হলেও বতর্মানে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে পোল্ট্রি শিল্পে বিনোয়োগ বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। দেশে একই সঙ্গে বেড়েছে ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন। ২০১৪ সালে ডিমের দৈনিক উৎপাদন ১ কোটি ৭৫ লাখ পিস হলেও ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৩০ লাখে। দুই বছরের ব্যবধানে মুরগির মাংসের উৎপাদন বেড়েছে ৩৪১ মেট্রিক টন। একই সময় পোল্ট্রি শিল্পের ওপর ভর করে স্বাবলম্বী হয়েছে বহু পরিবার। এদিকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামী বছরের (২০১৮ সালে) মধ্যে পোল্ট্রি পণ্য রফতানির আশা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এক্ষেত্রে দেশের বড় বাজার হবে মধ্যপ্রাচ্য। ২০২১ সালের মধ্যে দেশে পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলেও প্রত্যাশা তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে যেতে হবে আরও বহুদূর। দেশে প্রতিনিয়তই বাড়বে ডিম ও মাংসের চাহিদা। এর ওপর ভর করে সৃষ্টি হবে আরও বড় বাজার। আকাশচুম্বী সাফল্যের এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলতে হবে পুষ্টিসম্পন্ন মেধাবী জাতি। তবে খামারিরা বলছেন, প্রতিনিয়তই নানা উপকরণের দাম বাড়ছে। মুরগির বাচ্চা, খাবার ও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা লাভের মুখ দেখছেন না। একই সঙ্গে মাঝে মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বার্ড ফ্লুর মতো মহামারি। এমন পরিস্থিতিতে ছোট ছোট খামারির স্বার্থ রক্ষায় কৃষির মতো পোল্ট্রি খাতেও স্বল্প সুদে ঋণ ও ‘পোল্ট্রি বীমা’ চালু করার দাবি জানান বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) শীর্ষ এক নেতা। পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, পোল্ট্রি শিল্প মানুষের স্বপ্ন পূরণের জায়গা। এ খাতের ওপর ভর করে বহু শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এ শিল্পের কারণেই দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। স্বাস্থ্যের জন্য যদি সুষম খাবার অত্যাবশ্যক হয় তাহলে দেশে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে, এক্ষেত্রে পোল্ট্রি পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। এক কথায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প খুব ভাল করছে। যদি আমরা দেশী মুরগি বা দেশী হাঁসে থেকে যেতাম; তাহলে দেশের মানুষ কিন্তু এখন ডিম খেতে পারত না। বড় ডিমে কিন্তু আবার আমিষও বেশি। তাই বলা যায়, ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। একই ধরনের কথা বলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের পোল্ট্রি শিল্প ভালই এগুচ্ছে। ৯০ এর দশকের প্রথম থেকেই পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন শুরু হয়। তখন আমাদের জ্ঞানের পরিধি কম ছিল, অনেকটা শেখা ও জানার মতো। ৫ থেকে ৬ বছর ধরে পোল্ট্রি শিল্পে খুব বেশি উন্নয়ন হচ্ছে, এটা হচ্ছে কেবল মানুষের চাহিদার কারণে। পোল্ট্রি শিল্পে নীরব বিপ্লব ॥ বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) হিসাব মতে, দেশের পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। পরোক্ষভাবে এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ৬০ লাখ মানুষ। ২০৩০ সালে এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে প্রায় ১ কোটি মানুষ। তথ্য মতে, বর্তমানে সারা দেশে ছোট-বড় খামার রয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার। এদিকে পোল্ট্রি শিল্পে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা। তারা প্রথমে গড়ে তুলছেন ছোট খামার। সময়ের পরিক্রমায় তা হচ্ছে বড়। নতুন উদ্যোক্তা ও নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে এ শিল্পে একই সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগও। আশির দশকে এ খাতে বিনিয়োগ ১৫শ’ কোটি টাকা হলেও বতর্মানে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এ খাতে বিনোয়োগ বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ খাতে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনোয়োগের প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, দেশে এক সময় কোন জিপি ফার্ম ছিল না। পুরোটাই ছিল আমদানি নির্ভর। বর্তমানে এ খাতে ৮ টি কোম্পানির ১৫ টি খামার গড়ে উঠেছে। বেড়েছে পিএস খামার বা হ্যাচারি সংখ্যা। ডিএলএস’র তথ্য মতে দেশে বর্তমানে ২০৫ টি হ্যাচারি রয়েছে। এক সময় প্যাকেটজাত ফিড কেবল আমদানি করা হতো। বর্তমানে দেশেই ১৮৬ ফিডমিল রয়েছে। একইভাবে আগে দেশীয়ভাবে তেমন কোন ওষুধ তৈরি হতো না। পুরোটাই ছিল আমদানিনির্ভর। কিন্তু এখন প্রায় ৩০টি কোম্পানি দেশীয়ভাবে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা কমতে শুরু করেছে। এভাবেই নীরবে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে বিপ্লব ঘটছে। বেড়েছে ডিম, মাংস ও পোল্ট্রি ফিডের উৎপাদন ॥ দেশে ২০১৪ সালে ডিমের দৈনিক উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৭৫ লাখ পিস। দৈনিক ৫৫ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন বেড়ে ২০১৬ সালে ২ কোটি ৩০ লাখ পিসে উন্নীত হয়। একইভাবে বেড়েছে মুরগির মাংসের উৎপাদনও। ২০১৪ সালে মুরগির মাংসের দৈনিক উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন। ২০১৬ সালে এসে তা ১ হাজার ৮৫১ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধানে দেশে দৈনিক মুরগির মাংসের উৎপাদন বেড়েছে প ৩৪১ মেট্রিক টন। ২০১৪ সালে দেশে পোল্ট্রি ফিডের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ২৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ লাখ মেট্রিক টনে। সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য ২০২১ সালে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীতকরণ। বার্ড ফ্লু ও করণীয় ॥ ২০০৭ সালে দেশে প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সে সময় ১০ লাখের বেশি হাঁস-মুরগি হত্যা করা হয়। এরপর মাঝেমধ্যেই আলোচনায় এসেছে বার্ড ফ্লু। বলা হয়ে থাকে, বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবই পোল্ট্রি শিল্পের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল সংশ্লিষ্টদের সচেতনতাই এ রোগের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে বহুলাংশে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের (সম্প্রসারণ) পরিচালক ডাঃ এইচ বি এম গোলাম মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে দেশের কোথাও বার্ড ফ্লু নেই, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই। সারা দেশের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছেÑ কোথাও কোন কিছু নোটিস হলে সঙ্গে সঙ্গে তা আমাদের জানাতে। প্রতিদিনই তারা তথ্য পাঠাচ্ছেন। আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি বলেন, ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ডায়গনিস করতে পারছি। ফলে বার্ড ফ্লু শনাক্তকরণে এখন আর বাইরের কারও সহায্য লাগছে না। করণীয় প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত সময়ে রাজধানীর মুরগির বাজারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালু করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন বাজার বন্ধ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। একই ধরনের কথা জানান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল টেকনিক্যাল উপদেষ্টা মোঃ জাকিউল হাসান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বিশ্বের কোন বাজারে মুরগি ড্রেসিং করে বিক্রি হয় না, কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে তা হচ্ছে। বাজারগুলো সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করার যে নিয়ম ছিল তাও মানা হচ্ছে না। দোকানদারদের করণীয় প্রসঙ্গে জাকিউল বলেন, সপ্তাহে প্রতিটি মার্কেটকে কমপক্ষে একদিন বন্ধ রাখতে হবে। মুরগি জবাইয়ের পর যেখানে ময়লা রাখা হচ্ছে তা ঢেকে রাখতে হবে। ওই উচ্ছিষ্ট যেখানে ফেলা হচ্ছে তা যাতে কোনভাবেই কাকের আহার না হয়। সর্বোপরি সবাই বলছেন, বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতাই উপকার বয়ে আনতে পারে বহুলাংশে। ব্যবসায়ীদের কথা ॥ কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালে যে মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা তা এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বেড়েছে মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম। তাদের ভাষ্য, বিপরীতে কেজিপ্রতি মুরগি ও ডিমের দাম বাড়েনি তেমন। ফলে পোল্ট্রি খামারিদের উৎপাদনে তেমন লাভ হচ্ছে না। ২০১০ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেন মোঃ আসাদুল হক। এক প্রশ্নের উত্তরে এই ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি ব্যবসায় দুর্দিন যাচ্ছে। মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম অনেক বেশি। বিপরীতে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম কম। দেশের মানুষের জন্য আমিষ সরবরাহ করেও আমরা তেমনভাবে লাভবান হচ্ছি না। ময়নসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া। তিনিও ২০১০ সাল থেকে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তার ভাষ্য, আগে মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা, এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। বিপরীতে খাবারের দামও বেড়েছে। কিন্তু মুরগির দাম ১০০ থেকে ১৩০ টাকাই। সামগ্রিক প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের পোল্ট্রি শিল্প বর্তমানে সাম্যাবস্থায় রয়েছে। অনেকটা ভাল ও মন্দের মাঝামাঝি। যতটুকু যোগান দেয়া দরকার আমরা ততটাই দিচ্ছি। এ খাতের পুরো উন্নয়ন হয়েছে বেসরকারীভাবে। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করা হলেও পোল্ট্রি শিল্পের ছোট ছোট খামারিকে জন্য আলাদা করে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে না। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। এছাড়া খামারিদের মুরগি বার্ড ফ্লুর মতো রোগে আক্রান্ত হলে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যেন পথে বসে না যায়, সে লক্ষ্যে পোল্ট্রি বীমা করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া কর সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা রয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত পোল্ট্রি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকলেও হটাৎ ২০১৫ সালে এসে তা বন্ধ করে নতুন করে কর আরোপ করা হয়। আশার কথা শুনিয়ে সিরাজুল হক আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারব। এক কথায়, দেশের পোল্ট্রি শিল্প ভালই এগুচ্ছে। আগামী বছর আমরা রফতানিতে যেতে পারব। রফতানিতে যেতে পারলে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বড় বাজার হবে, এখন এটিই আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হলে প্রচুর বিনোয়োগ দরকার। দরকার নতুন নতুন উদ্যোক্তা। এক্ষেত্রে আবার ছোট ছোট খামারিদে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক প্রাণিসম্পদ অফিসগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বর্তমানের অবস্থায় এসেছে। এখন দরকার সরকারের প্রয়োজনীয় সাহায্য। ছোট ছোট যে সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানে যদি উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে পোল্ট্রি শিল্প এগিয়ে যাবে আরও বহুদূর।
×