ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আপীল বিভাগের রায় রিভিউ রবিবার

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৩ মার্চ ২০১৭

বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আপীল বিভাগের রায় রিভিউ রবিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ১৮ তলা বিশিষ্ট ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আপীল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির রবিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। অন্যদিকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্ত্যক্তকারীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আলামিনের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত আসামিকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। বিজিএমইএ বহুতল ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আপীল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির রবিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার এ শুনানি সুপ্রীমকোর্টের কার্যতালিকায় ছিল। তবে শুনানিতে সময় প্রর্থনা করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন এই বেঞ্চ। এরও আগে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ পিটিশন দায়ের করে বিজিএমইএ। পিটিশনে আপীল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়। আপীল বিভাগের রায়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভাঙতে হবে বহুতল এ অবৈধ ভবন। ভবন ভাঙ্গার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ না ভাঙলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয় আপীল বিভাগ। এজন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয়েছে। বিজিএমইএর ‘লিভ টু আপীল খারিজের’ পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেন আপীল বিভাগ। হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএর ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেন। বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে ভেঙ্গে ফেলা সংক্রান্ত আপীল বিভাগের ৩৫ পৃষ্ঠার দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ নবেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল এ ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেন। মৃত্যুদ- কমিয়ে যাবজ্জীবন ॥ প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্ত্যক্তকারীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আলামিনের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি আবেদন শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহীদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
×