ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালানি খাতে পাঁচ বছরে দুই হাজার ইঞ্জিনিয়ার লাগবে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৩ মার্চ ২০১৭

জ্বালানি খাতে পাঁচ বছরে দুই হাজার ইঞ্জিনিয়ার লাগবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, দ্রুত সাফল্য পেতে হলে পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে আগামী পাঁচ বছরে দুই হাজার ইঞ্জিনিয়ার লাগবে। বিদ্যমান পরিকল্পনাসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়নে দক্ষ ও কার্যকরী মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই। প্রতিমন্ত্রী, বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা অর্জন’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই, তার প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। সরকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট ও বাংলাদশে পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়নে আমরা অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গহর রিজভী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে নিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এখনই নেয়া দরকার। বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেন, বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যান্য নিয়মিত কোর্স বাদে জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতের জন্য প্রতিবছর ১০টি করে বৃত্তি থাকবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে মোনাস ও আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিভাবে আরও ফলপ্রসূ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত করা যায় এবং ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানো যায়, তা আলোচনা করার জন্যই আজকের এই সিম্পোজিয়াম। সেমিনারে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র বিষয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাউফুদ্দিন আহসান এবং এলএনজি নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সচিব মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যদের মাঝে বিদ্যুত সচিব আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসেন, মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কামরুল আলম, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফিরোজ আলম বক্তব্য রাখেন।
×