ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৭

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৩ মার্চ ২০১৭

শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৭

শাবি সংবাদদাতা ॥ জুনিয়র কর্মীদের হাতে সিনিয়র নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সুমন তালুকদার, নাহিদ, উজ্জ্বল, মনিরুজ্জামান, পিয়াস, মুনকির, জয়, ইয়ামিন, আপলু, শিহাব, মৃন্ময় দাস, শামসুল, জাহিদ, জুবায়ের, রূপক, মনোয়ার ও সিমান্ত । বুধবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাহপরান হলের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। শাহপরান হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন বলেন, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে অসৌজন্যমূলক আচরণের জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা দুটি গ্রুপের মধ্যে ছড়ালে হলের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ ঘটনায় রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে জালালাবাদ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের করে। শাখা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মনুকির সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী আসিকুজ্জামান রূপকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা হলে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিস্তার করে। এ বিষয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় আমরা তা সমাধানের জন্য রাতে বৈঠকে বসেছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ ইমরান খানের অনুসারী জুয়েম এসে সব বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ফসলি জমির মাটি ইটভাঁটিতে স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ ফসলি জমি ধ্বংস করে কৃষিনির্ভর জেলা দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। এমনিতেই বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় দিনে দিনে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। তার ওপর আবাদি জমির উর্বর মাটি কেটে নেয়ার ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৭৬টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে বিরল উপজেলায় ১৭, সদর উপজেলায় ২৩, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৬, কাহারোল উপজেলায় ৫, বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৬, খানসামা উপজেলায় ৬, চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৯, পার্বতীপুর উপজেলায় ৩০, বিরামপুর উপজেলায় ৭, হাকিমপুর উপজেলায় ১, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৮, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৯ এবং ফুলবাড়ী উপজেলায় ৯টি। বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে আবাদি জমির ওপর। আর এসব ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য কেটে নেয়া হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। জমির মালিকরা মাটির গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় টাকার আশায় এসব মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে ইটভাটা মালিকদের কাছে। দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মনছুর রহমান জানান, উদ্ভিদের জন্য যা পুষ্টির প্রয়োজন, তা থাকে মাটির উপরিভাগে।
×