ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল আজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২ মার্চ ২০১৭

বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বেলা পৌনে ১টায় বালক বিভাগের ফাইনালে চট্টগ্রামের কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম সিলেটের জৈন্তাপুরের কামরাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় বালিকা বিভাগের ফাইনালে রাজশাহীর চারঘাটের বড়বাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম রংপুরের লালমনিরহাটের পাটগ্রামের টেপুরগাড়ি বিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করবেন এবং বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই দুটি আসরের জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্ব। এ দুটি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় ৭টি বিভাগের ১৪টি চ্যাম্পিয়ন দল অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগ হয়ে জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন বুধবার বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহ্ সূফী মোঃ আলী রেজা এবং বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বালক ও বালিকা বিভাগের দুই ফাইনালিস্ট দলের কোচ, অধিনায়ক এং ম্যানেজাররা। সংবাদ সম্মেলনে বালক দল চট্টগ্রামের কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোচ মোঃ ইলিয়াছ অভিযোগ করেন, ‘প্রতিপক্ষ সিলেট বিভাগের দলে বেশি বয়সী একাধিক খেলোয়াড় আছে। এতে আমাদের শিরোপা জয় অনেক কঠিন হতে পারে।’ দলের অধিনায়ক মিনার উদ্দিন বুলেটের রসালো বক্তব্য সবার হাসির খোরাক জোগায়। তার ভাষ্য, ‘আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব। তবে সিলেট দলের বেশি বয়সী খেলোয়াড় থাকায় কাজটা আমাদের জন্য কঠিন। ফাইনালে তো মনে হচ্ছে বাপ-বেটার লড়াই হবে।’ উল্লেখ্য, দেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে বয়সচুরি হয়- এটা পুরনো অভিযোগ। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল আসরও এর ব্যতিক্রম নয়। ২০১০ ও ২০১১ সাল থেকে এই দুটি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি বয়সচুরির অভিযোগের কোন সুরাহা করতে পারেনি আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রতিবারই তারা আশ^াস দেন, পরেরবার থেকে এমনটি আর হবে না। বুধবারও এমন আশ^াসের পুরনো বাণী শুনিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত অতিথিরা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এবারের অংশগ্রহণকারী স্কুলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ২৬০ এবং অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪২০। বঙ্গমাতা ফুটবলে অংশগ্রহণকারী স্কুলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৯৬ ও খেলোয়াড় সংখ্যা ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৩২। উল্লেখ্য, গতবছরের চেয়ে দল ও খেলোয়াড় সংখ্যা এবার অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানিয়েছে, এ বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইকে তারা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছেন। কেননা, সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে এ টুর্নামেন্ট দুটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।
×