ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সারাবিশ্ব নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ মার্চ ২০১৭

সারাবিশ্ব নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকান চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাতে ঘণ্টাব্যাপী এই ভাষণ দেন ৭০ বছর বয়সী ট্রাম্প। এই ভাষণের পর একটি তাৎক্ষণিক জরিপ চালায় সিএনএন। এতে ৫৭ শতাংশ মার্কিনি ট্রাম্পের এই ভাষণকে ইতিবাচক বলে রায় দেয়। ভাষণের পর থেকেই অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় ডলারের দাম বেড়েছে। ট্রাম্পের এই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি, কর কমানো, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদ, কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো, প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যয় কমানো, সম্প্রতি কানসাসে এক ভারতীয় প্রকৌশলীকে গুলি করে হত্যা ও ইহুদী কবরস্থানগুলোতে ভাংচুরের ঘটনার নিন্দাসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পায়। খবর বিবিসি, এএফপি, সিএনএন অনলাইনের। ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানকার মানুষ একসঙ্গে সকল ঘৃণাজনিত অপরাধের নিন্দা জানায়। এ দেশের মানুষ সব ধরনের অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত যুক্তরাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। অভিবাসীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ‘বাস্তবসম্মত ও ইতিবাচক’ সংস্কার সম্ভব। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানে একটি উপায় বের করতে পারেন বলে ইঙ্গিত করেন। এই ইস্যুতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময়ে তিনি ‘অভিবাসন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে’ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি এর আগে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। তিনি ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি প্রত্যাহার ও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে যুক্তি তুলে ধরেন। মুসলিম ও ন্যাটো ইস্যুতে কিছুটা নরম সুরে ট্রাম্প বলেন, ন্যাটো জোট শরিক ও বন্ধুভাবাপন্ন মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সংরক্ষণবাদী নীতির কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমি আব্রাহাম লিংকনের সংরক্ষণবাদী নীতি গ্রহণ করতে চাই। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আব্রাহাম লিংকনের এই নীতি সঠিক ছিল। ট্রাম্প বলেন, পৃথিবীকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার দায়িত্ব নয়। আমার দায়িত্ব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা। বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন বন্ধুরাষ্ট্র ও সহযোগী দেশ খোঁজার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মঙ্গলবারের এই দীর্ঘ বক্তৃতায় ডেমোক্র্যাটদলীয় কংগ্রেস সদস্যরা সাদা পোশাকে অংশ নেন। কানেকটিকাটের ডেমোক্র্যেটিক নেতা ট্রাম্পের এই ভাষণকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বক্তৃতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্যে অশুভ আলামত রয়েছে। পাশাপাশি আরও অনেক ডেমোক্র্যটিক নেতা ট্রাম্পের এই বক্তৃতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।
×