ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএল ॥ মধ্যাঞ্চলকে হারিয়ে শীর্ষে উত্তরাঞ্চল

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ মার্চ ২০১৭

বিসিএল ॥ মধ্যাঞ্চলকে হারিয়ে শীর্ষে উত্তরাঞ্চল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল যে হারবে তা মঙ্গলবারই বোঝা গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের চতুর্থ ও শেষদিনে বুধবার একঘণ্টাও টিকে থাকতে পারল না মধ্যাঞ্চল। বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ইনিংস ও ৮৫ রানে হেরে এক ম্যাচ আগেই শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল মধ্যাঞ্চলের। মধ্যাঞ্চলকে হারিয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে উত্তরাঞ্চল। ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে যদি কোনভাবে ২ পয়েন্ট পায় উত্তরাঞ্চল, তাহলে এবারের শিরোপা তাদেরই হয়ে যাবে। আরেকদিকে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ও ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। তাতে দুই দলেরই এখনও শিরোপা স্বপ্ন বেঁচে আছে। বোনাস পয়েন্টসহ এক ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্ট পাওয়া যায়। সেই হিসেবে উত্তরাঞ্চলের ১৯ পয়েন্টের বিপরীতে দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ ও পূর্বাঞ্চলের ১২ পয়েন্ট রয়েছে। চতুর্থ রাউন্ডে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মধ্যাঞ্চল। কিন্তু সিলেটে পঞ্চম রাউন্ডে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে থাকে। তৃতীয়দিন শেষে মধ্যাঞ্চল ১২৭ রানে পিছিয়ে থাকে। হাতে থাকে মাত্র ২ উইকেট। তখনই বোঝা যায় নিশ্চিত হার হচ্ছে। তাই হলো। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানেই গুটিয়ে গেল মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল একবারই ব্যাটিং করে। প্রথম ইনিংসে নাজমুল শান্তর ১২৩ ও নাঈম ইসলামের ১৪২ রানের পর ধীমান ঘোষের ১১৩ রানে ৫৩৭ রানে অলআউট হয় উত্তরাঞ্চল। মধ্যাঞ্চল থেকে প্রথম ইনিংসেই ৩৫৬ রানে এগিয়ে যায় উত্তরাঞ্চল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আলাউদ্দিন বাবুর (৪/৫৫) বোলিং তোপে তৃতীয়দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২৯ রান করতে পারে মধ্যাঞ্চল। ১২৭ রানে পিছিয়ে থাকায় নিশ্চিত হারের মুখেই পড়ে যায় দলটি। চতুর্থদিনে আর মাত্র ৪২ রান যোগ করতে পারে। একঘণ্টারও কম সময় খেলে গুটিয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। চট্টগ্রামে দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থাও খুব সুবিধার ছিল না। তবুও দলটি ড্র করে। তৃতীয়দিন পর্যন্ত পূর্বাঞ্চল থেকে ১৯৮ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রান করে। হাতে ছিল ১০ উইকেট। সেটিই ড্র করার জন্য ভরসা ছিল। সেই ড্র মিলেও। প্রথম ইনিংসে ইমরুলের শতকে ২৯৬ রান করে দক্ষিণাঞ্চল। এরপর পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ঐক্যবদ্ধ নৈপুণ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ১৯৮ রান করে দক্ষিণাঞ্চল, তখন বোঝা হয়ে যায় ম্যাচটি ড্রই হতে চলেছে। তাই চতুর্থদিন শেষ হওয়ার আগেই দুই দল মিলে ড্র ফল মেনে নেয়। স্কোর ॥ মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল ম্যাচ-সিলেট মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস ১৮১/১০; (সাইফ ৬৩; সানজামুল ৫/৪৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস তৃতীয়দিন শেষে ২২৯/৮; ৬৪ ওভার; (সাইফ ৭০, মজিদ ৪৩, তানভির ৪২*; আলাউদ্দিন ৪/৫৫ ও চতুর্থদিন ২৭১/১০; ৭৬ ওভার (শরীফ ৪৫; আলাউদ্দিন ৪/৬৭, সানজামুল ৩/১১৪)। উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস দ্বিতীয়দিন শেষে ৪২২/৬; (শান্ত ১২৩, নাঈম ১৩৩*, ধীমান ৬৪* ও তৃতীয়দিন ৫৩৭/১০; ১৩৪.৫ ওভার (নাঈম ১৪২, ধীমান ১১৩, আলাউদ্দিন ৫৪; মোশাররফ ৩/১২৫)। ফল ॥ উত্তরাঞ্চল ইনিংস ও ৮৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাঈম ইসলাম (উত্তরাঞ্চল)। দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল ম্যাচ-চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস ২৯৬/১০; (ইমরুল ১৩৬, বিজয় ৫৮; সাকলায়েন ৩/১৭ ও দ্বিতীয় ইনিংস তৃতীয়দিন শেষে ২৯/০; ৮ ওভার; বিজয় ২৩*, রাব্বি ৪* ও চতুর্থদিন ১৯৮/৫; ৯৬ ওভার (বিজয় ৩৫, রাব্বি ৩৬, তুষার ৩১, শাহরিয়ার ৩৬, মিঠুন ২৯*, ইমরুল ৭; নাঈম হাসান ২/৪৮)। পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস দ্বিতীয়দিন ২৯০/৪; (আফিফ ১৩৭, তাসামুল ৯৮ ও তৃতীয়দিন ৫২৩/৭; ইনিংস ঘোষনা; ১৭৮ ওভার (কাপালী ৬৬, রাহাতুল ৬০*, সাইফুদ্দিন ৫০*; নাজমুল ২/৯৮)। ফল ॥ দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা ॥ আফিফ হোসেন (পূর্বাঞ্চল)।
×