ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতি বছর নদীগর্ভে কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২ মার্চ ২০১৭

প্রতি বছর নদীগর্ভে কোটি টাকার প্রকল্প

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১ মার্চ ॥ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রতিবছর টাকার প্রকল্প গচ্ছা যাচ্ছে। তিনটি নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করার ফলে প্রতিবছরই হুমকির মুখে পড়ে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, কৃষি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। বর্ষায় ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে বালুর বস্তা ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু তা কোন কাজেই আসে না, নদীতেই ভেসে যায় প্রকল্পের টাকা, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীসহ জনপ্রতিনিধির। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে সাময়িক ব্যবস্থা নেয়া হয়, আর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে। পাউবো সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে সদর উপজেলার সেনুয়া নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে চেরাডাঙ্গী ও বাসীয়া দেবী গ্রামের ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, কবরস্থান, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রক্ষায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ ও বালির বাঁধ দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই বস্তাফেটে বালি নদীতে ভেসে যায়। ওই এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বাঁশ বালির বাঁধ দিয়ে শুধু টাকা লোপাট করা হচ্ছে। কোন কাজে আসছে না। একই সুরে অভিযোগ করে স্কুলশিক্ষক দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে সরকারের টাকা এভাবেই হরিলুট হবে। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশলডাঙ্গী, কিসমত পলাশ বাড়ি ও খকসা গ্রাম তীরনই নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁশ বালির বাঁধ দেয়া হয়। কিন্তু এই বাঁধ কোন কাজে আসেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, যেন-তেন কাজ করে প্রকল্পের টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
×