ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ৮ কিমি সড়ক বেহাল ॥ ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২ মার্চ ২০১৭

কলাপাড়ায় ৮ কিমি সড়ক বেহাল ॥ ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১ মার্চ ॥ সিলকোট নেই। যানবাহনের চাকায় উঠে গেছে। ইটের খোয়াও নেই বললেই চলে। হাল্কাসহ ভারি যানবাহন চলাচলে এখন পুরো সড়কটি অনুপযোগী হয়ে গেছে। অবস্থা এমন হয়েছে, বালুর স্তর পর্যন্ত দেবে গেছে। বড় বড় খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। দেখে মনে হয় এ সড়কটি কখনও সিলকোট করা হয়নি। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা থেকে নোমরহাট পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের এমন চরম বেহাল। সড়কটিতে এখন টমটম, ভ্যান, অটোসহ যাত্রীবহনকারী হোন্ডা চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। স্থানীদের অভিযোগ ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে এ সড়কটি করার পরে আজ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। তারপরে তরমুজসহ ধানখালীর বিদ্যুত প্ল্যান্টের মালামাল নিয়ে ছয় চাকার ভারি যানবাহন চলাচলে সড়কটি ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এখন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এ সড়কটিতে চলাচল করতে পারছেন না। ধুলাবালিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে যোগাযোগ বন্ধ থাকে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান গর্ত হয়ে গেছে। হাফেজপ্যাদা গ্রামের এক শিক্ষানুরাগী আবদুল হালিম প্যাদা জানান, খুব শীঘ্রই মেরামত না করলে তাদের সড়ক যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে। একই মন্তব্য করলেন সাবেক ইউপি মেম্বার হারুন মাদবর। টমটমচালক জাফর, হোন্ডাচালক রহিম জানান, তাদের এখন যাত্রী টানার সুযোগ নেই। ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণকারী সংস্থার একাধিক সূত্র জানিয়েছে তারা লোন্দা থেকে হাফেজ প্যাদার কাছাকাছি টিয়াখালীর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করবেন। বাকি ছয় কিমি অংশের কী হবে তা কেউ জানে না। যদিও এ আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণ করা। যা পরবর্তীতে এলজিইডি ডিপার্টমেন্ট পাকা করে। এলজিডির প্রকৌশলরা আদৌ এ বছর সড়কটি মেরামত করতে পারবে কি না তা জানাতে পারেননি।
×