ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী জনদুর্ভোগের জন্য দায়ী: ফখরুল

প্রকাশিত: ০১:১৮, ১ মার্চ ২০১৭

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী জনদুর্ভোগের জন্য দায়ী: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সারাদেশে ২ দিন জনদুর্ভোগের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে মঙ্গল ও বুধবার মানুষ হেঁটে হেঁটে তাদের গন্তব্যে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারের একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রীর ইশারায় পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে গোটা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অযোক্তিক। একটিই উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে এলএনজি আমদানি করে সরকারি দলের লোকেরা বিক্রি করবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য বিডিআর হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্র করা হয়’। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষততায় গেলে প্রকৃত তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের বিচার করা হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করেছে। পিলখানার ঘটনায় প্রথম তাদের ওপর আঘাত এসেছে। সেদিন তাদের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। আর দেশে সরকার বলেও কিছু নেই। যারা আছে, তারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। তিনি বলেন, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছে, তারা আগামীতেও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে। ফখরুল বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট। কারণ, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু সে নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিচার বিভাগ, আইনশৃংখলা বাহিনী ও মিডিয়াসহ সব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একদলীয় শাসন কায়েম করা। বিচারের নামে সরকার মামলা দিয়ে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার, কখনো দুবার আদালতে যেতে হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াসহ বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
×