ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মালিক পক্ষের অতিমুনাফা লোভী প্রবণতা শ্রমিক শ্রেণীকেও কষ্টের মধ্যে ফেলেছে

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১ মার্চ ২০১৭

মালিক পক্ষের অতিমুনাফা লোভী প্রবণতা শ্রমিক শ্রেণীকেও কষ্টের মধ্যে ফেলেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের বাজার অর্থনীতির অতিমুনাফা এক নিদারুন শ্রেণী বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শ্রমজীবি মধ্যবিত্ত মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশে ব্যাংক লুটেরা, গার্মেন্টস, পাটকল মালিক পক্ষের অতিমুনাফা লোভী প্রবণতা এদেশের শ্রমিক শ্রেণীকেও কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকারের শ্রমিকস্বার্থ সংরক্ষণ নীতি, আইনের দূর্বলতা এত বেশী যে শ্রমজীবি মানুষ তাদের পক্ষে আইনের লড়াই করার মত বিশ্বস্ত শ্রমিক সংগঠন বা নেতা পাশে পাচ্ছেন না। শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ছিলেন সেই পরীক্ষিত নেতা যিনি শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় নিজের স্বার্থ কখনও দেখেন নি। তাঁর মৃত্যুর পর বোঝা গেছে খুলনায় সকল জুটমিলের শ্রমিকদের কান্না দেখে যে, তিনি শ্রমিকদের অন্তরের ভালবাসার নেতা ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য প্রয়াত কমরেড হাফিজুর রহমানের মৃত্যুতে পার্টি সহ এদেশের শ্রমজীবি জনগণের বিরাট ক্ষতি হয়েছে যা পূরণ করা সম্ভব নয়। বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশের ওযার্কার্স পার্টি আয়োজিত হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, “হাফিজুর রহমান একজন সৎ, নির্লোভ, সাদা মনের মানুষ ছিলেন। মানব মুক্তির মতবাদ সমাজতন্ত্রের বিশ্বাস অন্তরে ধারণ করেছিলেন বলে প্রকৃত শ্রমিকদের বন্ধু হতে পেরেছিলেন। শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, সুশান্ত দাস, কামরূল আহসান, হাজেরা সুলতানা এমপি, এ্যাড, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি সহ ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ।
×