ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোহলি নয়, ইউসুফের চোখে শচীনই সেরা

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১ মার্চ ২০১৭

কোহলি নয়, ইউসুফের চোখে শচীনই সেরা

ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য সময় পার করা বিরাট কোহলিকে অনেকেই গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে বিষয়টা একদমই পছন্দ নয় সাবেক পাকিস্তানী তারকা মোহাম্মদ ইউসুফের। তিনি বলেন, ‘আমি কোহলির থেকে কোন কিছু নিতে চাই না। তারমধ্যে অন্য ধরনের প্রতিভা রয়েছে যা সত্যিই বিরল। কিন্তু আমি সবদিক থেকে শচীনকেই এগিয়ে রাখব। কারণ তিনি যে সময় খেলেছেন তখন তার প্রতিপক্ষ ছিল বিশ্বের সেরা সব স্পিনার ও পেসাররা।’ এখনকার দিনের খেলোয়াড়দের গুণগত মানের সাথে ৯০-এর দশক কিংবা ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলোয়াড়দের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও মনে করেন তিনি। ৪২ বছর বয়সী ইউসুফ আরও বলেন, ‘২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর খেলোয়াড়দের গুণগত মানের ঘাটতি দেখা গেছে। শচীন ছিল একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। বিশ্বের শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবধরনের কন্ডিশনে সবধরনের ফর্মেটে তার রান ও সেঞ্চুরির সংখ্যা বিবেচনা করলেই সব প্রমাণিত হবে। আমি তার বিপক্ষে অনেক খেলেছি। অনেকবারই সে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছে। আমার মনে হয় না কোহলি একই মানের বোলারদের মোকাবেলা করছে।’ সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন। ক্যারিয়ারে ২৭ সেঞ্চুরির ১৭টিই হাঁকিয়েছেন পরে ব্যাট করে, যার মধ্যে ১৫টিতে জিতেছে ভারত। রান টপকে জয়ে অবদান রাখার ক্ষেত্রে শচীনের সেঞ্চুরি ১৪টি। দুই প্রজন্মের দুই তুখোড় ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তাই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোহলি কি আসলেই শচীনের চেয়ে ভাল? কোহলি নিজেও এই তুলনা পছন্দ করেন না। শচীনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব বলেও মনে করেন তিনি, ‘মনে হয় না অতদিন আমি খেলতে পারব (শচীন পেশাদার ক্রিকেট খেলেছেন ২৪ বছর)। যেখানে আছে ২০০ টেস্ট ও ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। যেগুলো অসাধারণ রেকর্ড, যা ছোঁয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু হ্যাঁ, আমি আমার খেলা দিয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে চাই।’ কোহলি নিজের ক্ষমতাকে কখনও কোন সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চান না, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার মনে হয়, আমরা অনেক সময় নিজেদের ক্ষমতা না বুঝেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে ফেলি। যে কারণে আমি নিজের ওপর কোন লিমিট চাপিয়ে দিই না। আমার ভাল লাগে নিজের ক্ষমতাকে প্রতি মুহূর্তে আবিষ্কার করতে। আমি জীবনে কি করতে চাই সে ব্যাপারে কখনও কোন সীমা তৈরি করি না।’ সাফল্যের রহস্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমার জীবনে খুব বেশি মানুষ নেই যারা আমার কাছের। আমার মতে এটা ভীষণভাবে সাহায্য করেছে। যদি আপনার জীবনে কথা বলার জন্য অনেক মানুষ, অনেক বন্ধু থাকে তাহলে আপনার চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে। আর সময় নিয়ন্ত্রণ করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।’
×