স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ডিমলা উপজেলা সরকারী হাসপাতালের পাচার হওয়া ১৩ প্রকারের ২০ হাজার ৩৩০ ক্যাপসুল, সিরাপ ও ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে ডিমলা থানা পুলিশ উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রূপাহারা গ্রামের মমিনুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সব সরকারী ওষুধ উদ্ধার এবং মমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মমিনুর ওই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে এবং ডিমলা হাসপাতালের ইপিআই কর্মসূচীর ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য চুক্তিভিত্তিক (পোর্টার পদে) কর্মচারী ছিলেন। এ ঘটনার পর ডিমলা হাসপাতালের স্টোরকিপার মোবারক আলী গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ ডিমলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রাশেদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ ডিমলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অনুপ কুমার রায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক লোকমান হোসেন। তদন্ত টিম গঠনের পর তদন্ত টিমের আহ্বায়ক ডাঃ রাশেদুজ্জামান জানান, তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের ওষুধ ভা-ারটি সিলগালা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের ওষুধ ভা-ারের স্টোরকিপার মোবারক আলী সোমবার অফিস করলেও মঙ্গলবার সকাল হতে ছুটি ছাড়াই হাসপাতালের অফিসে অনুপস্থিত রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: