স্পেস এক্স সোমবার বলেছে, চাঁদের চারদিকে ভ্রমণে যাওয়ার জন্য দুই সাধারণ নাগরিক অর্থ প্রদান করেছে মহাশূন্যযান কর্তৃপক্ষকে। মানুষ এ পর্যন্ত মহাশূন্যের গভীরে যতটা প্রবেশ করেছে তার চেয়ে অনেক দূরত্বে যাবে এবার।
১৯৬০ ও ’৭০ দশকে নাসার এ্যাপলো মিশনের পর চাঁদে কোন নভোচারী পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র। সিইও এলোনমাস্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এ কথা জানাতে উত্তেজনা অনুভব করছি যে, আগামী বছরের শেষদিকে চাঁদের চারদিকটায় ভ্রমণ করানোর জন্য দুই ব্যক্তির কাছ থেকে অনুরোধ পেয়েছে স্পেস এক্স। তিনি বলেন, ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মানুষের জন্য মহাশূন্যের গভীরে ফেরার এক সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা অতীতে যে কোন সময়ের চেয়ে সৌরজগতে আরও দ্রুত, আরও গভীরে ভ্রমণে যাবেন। বিবৃতিতে বলা হয় এ পর্যটকরা এরমধ্যেই এক উল্লেখযোগ্য অর্থ জমা দিয়েছেন।
দুই পর্যটকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ শুরু হবে এ বছরই। মাস্ক বলেন, অন্যান্য ফ্লাইট টিমও বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আমাদের প্রত্যাশা, আরও কেউ কেউ এ উদ্যোগ অনুসরণ করবেন। স্বাস্থ্য ও যোগ্যতা পরীক্ষার ফলাফলে তাদের অনুমোদন ও নিশ্চয়তা সাপেক্ষে ফ্লাইট টিমগুলোর বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে। পর্যটকরা ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানির ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়বেন। এ ক্যাপসুল এ বছরের শেষ নাগাদ এর প্রথম মনুষ্যবিহীন পরীক্ষা ফ্লাইটের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫ বছর বয়স্ক বাসিন্দা দীর্ঘদিন যাবত মহাশূন্যের বিষয়ে অত্যন্ত উৎসুকতা প্রকাশ করে আসছেন। তিনিও মঙ্গলগ্রহে উপনিবেশ গড়ে তোলার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে বেশ স্পষ্টবাদী। তিনি রেড প্ল্যানেটে এক সঙ্গে ১শ’ মানুষ পাঠানোর মধ্যে দিয়ে সেখানে একটি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চাবিলাসী পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন গত সেপ্টেম্বরে। তিনি এ পরিকল্পনা শুরু করবেন ২০২৪ সালে। -এএফপি