স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনিদৃষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে খোদ রাজধানীতেও। সকালে নগরীর বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেলেও দুপুর থেকে তা কমতে শুরু করে।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যাত্রীরা জানান, বাস, অটোরিক্সা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে দু’একটি এলেও যাত্রী তোলা হচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে চলতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ যাত্রীর চলাচলের একমাত্র ভরসা রিক্সা। বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিক্সা নিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সবাইকে।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন, সদরঘাট বাস টার্মিনাল, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালে আসা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় আরো বেশি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় দুইজন চালকের বিরুদ্ধে কঠোর সাজার রায় হওয়ায় শ্রমিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুত সংকট যেন সমাধান হয়।
গাবতলী এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু সকাল নয়টার পর থেকে আবার তাঁরা অবরোধ শুরু করে ভাঙচুর চালান। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) উপকমিশনার লিটন কুমার সাহা বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সকালে গাবতলী এলাকা কিছু বাস চলাচল শুরু করলেও অন্য শ্রমিকরা এসে চালক ও কন্ডাক্টরকে মারধর করে।
বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনার দায়ে এক ট্রাকচালকের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী চলবে। পাশাপাশি সারা দেশে ধর্মঘটও চলবে। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও সংবাদপত্রবাহী যান চলাচল করবে।
এদিকে, সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও তার বেশির ভাগই প্রাইভেট ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও যে সকল সড়কে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ আজ সে সকল রাস্তাতে রিক্সা বেশ চলাচল করছে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এক দৃষ্টিতে গণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করলেও কোন লাভ হচ্ছে না যাত্রীদের। হঠাৎ এক ঘন্টায় মধ্যে দু’একটা পরিবগন চোখে পড়লেও তাতে উঠার মতো পরিস্থিতি নেই। হয়তো একেবারে ফাঁকা লোক উঠানো হচ্ছে না নয়তো মানুষের ভিড় সামলে উঠা মুশকিল। অফিস শেষে অধিকাংশই পায়ে হেটে গন্তব্যের যাত্রা শুরু করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: