ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করে না: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করে না: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংসদে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে কোন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বিদ্যমান নেই। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এই সরকার কোনভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন, অনুমোদন ও অনুসমর্থন অথবা উৎসাহিত করে না। আইনসংগত দায়িত্ব কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কোনরূপ ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ দাবি করেন। বিকেলে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। ভূয়া পুলিশের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে ॥ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। মঙ্গলবার সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে আব্দুল মতিনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিকেলে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অপরাধীরা তাদের অপরাধের ধরন সময়ে পরিবর্তন করে থাকে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে নিজেদেরকে ছদ্মবেশে রেখে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণœ হচ্ছে। এ বিষয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু সংখ্যক প্রতারক গোষ্ঠীকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের জন্য নির্ধারিত পোশাক ও হ্যান্ডকাপ খোলাবাজারে বিক্রির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদেরকে তাদের ব্যবহৃত পোশাকের সঙ্গে নিজস্ব আইডি কার্ড ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম রিফাত আমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করতে গঠিত টাস্কফোর্স সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পলাতক ছয় খুনীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি রয়েছে। ইন্টারপোল সদস্যভূক্ত সকল দেশের এনসিবিকে বিদেশে পলাতক এসব খুনীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনী এ এম রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং অপর খুনী এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর অবস্থান কানাডাতে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকায় এই দুই খুনীকে ফেরত আনতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনা ত্বরান্বিত করতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ল-ফার্ম নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ‘সাধারণ মানুষ থানায় জিডি করতে গেলে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায় করে। অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমকে নাজেহাল করে’ বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর এমন প্রশ্নের সতত্য অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘সাধারণ মানুষ থানায় জিডি করতে গেলে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে টাকা আদায় করে; তা সত্য নয়। এমনকি ভিকটিমকেও নাজেহাল করা হয় না। এরকম কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান সাপেক্ষে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
×